বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উতপ্ত হালিশহর পুরসভা চত্বর। শুক্রবার বিকেলে চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হালিশহর পুরসভার পুরপ্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃনমূল নেতা রাজু সাহানি। ওইদিন সিবিআই তার নিউটাউনের ফ্ল্যাট ও হালিশহর বোলদেঘাটার “হাইনেস্ট” রিসোর্ট থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ও বেশকিছু নথি উদ্ধার করেছে।
পাশাপাশি একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার সকালে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা হালিশহরের রামপ্রসাদ ঘাট থেকে মিছিল করে হালিশহর পুরসভার গেটের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র ও জেলা পর্যবেক্ষক প্রবাল রাহা। বিক্ষোভ ঘিরে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। অভিযোগ,বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা জোর করে পুরসভায় ঢোকার চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিতিমত উতপ্ত হয়ে ওঠে হালিশহর পুরসভা চত্বর। ঘটনাস্থলে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রাফ উতপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন – বাংলার দূর্গা পূজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সন্মান জানিয়ে শোভাযাত্রা শহর জলপাইগুড়িতে
ধস্তাধস্তিতে বিজেপির এক মহিলা কর্মী আহত হন। যদিও বিজেপির রাজ্য সভানেত্রীর অভিযোগ, ডেপুটেশন দিতে আমারা পুরোসভায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ডেপুটেশন নেবার জন্যে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে রিসিভিং দপ্তরে জমা করে এসেছি। তিনি আরও বলেন,পুরসভার ভেতরে তৃনমুলের গুন্ডাদের ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তারাই আমাদের দিকে ধেয়ে আসে। সেই সময় পুলিশ নিরব দর্শকদের ভুমিকায় ছিল।
হালিশহর এলাকায় রাজু সাহানির এতটাই প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল যে গত পুরসভা নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদন্দিতায় জয়ী হয়েছিলেন। তার সাফ কথা রাজু সাহানিকে পুরপ্রধানের পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আগামী দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে আরও লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উদ্ধার হবে। ব্যারাকপুর জুড়ে যে সব চোরেরা আছে তারা প্রচুর মানুষকে প্রতারিত করেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা চাই এর সিবিআই তদন্ত হোক এবং দোষীরা অবিলম্বে ধরা পড়ুক। বিক্ষোভ কর্মসূচি