তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব দুই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য। ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হলেন পঞ্চায়েতের দুই সদস্য। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি প্রধানের। ঘটনাটি পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। সাম্প্রতিক কালে কয়লা, বালি, শিক্ষক নিয়োগ, গরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা, কর্মীর। বিষয়টি নিয়ে সবর হয়েছে বিরোধীরা। এবার ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে। প্রধান বীরবাহাদুর সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন বিনোদ কুমার মিস্ত্রি ও রাজকুমার সাহানি নামে পঞ্চায়েতরই দুই সদস্য। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান বীরবাহাদুর সিং।
আরও পড়ুন – ব্রিটিশরা যখন পয়সা গুনছে, তখন ইউক্রেনীয়রা লাশ গুনছে, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি
বহুলা পঞ্চায়েতের ৯ ও ১৬ নম্বর সংসদের সদস্য বিনোদ কুমার মিস্ত্রি ও রাজকুমার সাহানিরা জানান, সম্প্রতি তাদের দুজনের সংসদ এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু দু-তিন দিন কাজ হওয়ার পরেই সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কাজ শেষ না করা সত্ত্বেও প্রকল্পের পুরো টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিনোদ কুমার মিস্ত্রি জানান, কাজের তথ্য জানতে চাইলে প্রধান তাদের তা দেখাচ্ছেন না। তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তাই, শনিবার ৩রা সেপ্টেম্বর প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের (পশ্চিম বর্ধমান) কাছে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে বিনোদ বাবু জানান।
অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বীরবাহাদুর সিং। তিনি বলেন, অভিযোগকারী বিনোদ কুমার মিস্ত্রি ও রাজকুমার সাহানি ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিটের জয়লাভ করে সদস্য হন। কিন্তু তারপর তারা দুজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির নেতাদের উস্কানিতেই ওই দুজন মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে দাবি করেন বীরবাহাদুর বাবু। পাশাপাশি তিনি জানান, বিনোদ মিস্ত্রি তার দাদার নামে পঞ্চায়েতে ঠিকাদারি করত। যা আইন বিরুদ্ধ। বিষয়টি নজরে আসতেই সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেই আক্রশেই তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে দাবি করেন বীরবাহাদুর বাবু।