ইউনেস্কো-র হাত ধরে কুশমন্ডির মহিষবাথানের তৈরী মুখা পাড়ি দিতে চলেছে বিদেশে। আন্তর্জাতিক বাজারে মহিষবাথানের মুখার বিপনন নিয়ে ইউনেস্কো-র সঙ্গে মহিষ বাথান গ্রামীণ হস্ত শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে মহিষবাথানের মুখা শিল্পীদের ভাগ্য। দিন বদলের আশায় কুশমন্ডির মুখা শিল্পীরা। উল্লেখ যে ১৯৯০ সাল থেকে কুশমন্ডির মহিষবাথানের মুখাশিল্পীরা মুখা তৈরীর কাজ করে আসছে।
ইতিমধ্যেই মহিষবাথানের মুখাশিল্প শুধু মাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নয়, জেলা-রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে ভারতের একাধিক স্থানে সমাদৃত হয়েছে। প্রথম দিকে মহিষবাথান গ্রামের কিছু শিল্পী এই মুখা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তী সময়ে মহিষবাথানের তৈরী মুখার চাহিদার সঙ্গে ক্রমাগত বাড়তে থাকে মহিষবাথানের মুখাশিল্পীর সংখ্যাও। মুখা শিল্পীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসে রাজ্য সরকার-ও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন-ও মহিষবাথানের মুখা-র বিপনন অনলাইন মাধ্যমে করতে উদ্যোগী হয়।
যার ফলে দেশীয় বাজারে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে মহিষবাথানের তৈরীর মুখা-র চাহিদা। মহিষবাথানের মুখা শিল্পী সাঞ্জুলাল সরকার জানিয়েছেন তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে মুখা তৈরীর কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান বর্তমানে তাদের তৈরী মুখা ভাল বিক্রি হচ্ছে, চাহিদা অনুযায়ী তারা জোগান দিতে পারছেন না। মুখা শিল্পীদের বক্তব্য রাজ্য সরকার আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় মুখা বিক্রির জন্য শিল্পীদের সবরকম সহযোগীতা রাজ্য সরকার-ই করে থাকে।
সরকারি সহায়তার কারনে বর্তমানে বেড়েছে মহিষবাথানের মুখাশিল্পীদের সংখ্যাও বেড়েছে। এরই মাঝে মহিষবাথান মুখা শিল্পীদের সংগঠন মহিষ বাথান গ্রামীণ হস্ত শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড তাদের তৈরী মুখা-র আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণন নিয়ে ইউনেস্কো-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে বলে খবর। এমনটা হলে আর্থিকভাবে বিপুল উপকৃত হবে মুখা শিল্পীরা। মহিষবাথানের মুখাশিল্পীরা জানিয়েছেন দেশীয় বাজারে তাদের তৈরী ১৮ ইঞ্চি মুখা যেখানে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হয় সেখানে ইউনেস্কোর হাত ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ঐ মুখা বিক্রি হবে ১০০০০-১৫০০০ টাকায়।
আরও পড়ুন – বালুরঘাটের ৬টি পূজো কমিটিকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষনা বালুরঘাট থানার
মহিষবাথান গ্রামীণ হস্ত শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক পরেশ চন্দ্র সরকার মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার মুখা শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ও মুখা শিল্পীরা যাতে আগামীদিনে আরও ভাল রোজগার করতে পারে তার জন্য তাদের সহযোগীতা করছেন। তিনি বলেন ইউনেস্কো তাদের তৈরী মুখা যদি আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণন করে তাহলে তাদের তৈরী মুখোশের চাহিদা আরও বাড়বে। সেই সাথে তিনি জানান দুর্গাপূজোর আগেই তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের মহিষবাথান গ্রামে আসতে চলেছে।