বড় বড় হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার। মুর্শিদাবাদ জিয়াগঞ্জ মরিচাপাড়ার বাসিন্দা সাহানি বেওয়া, পাঁচ মাস আগে পড়ে গিয়ে ফিমারের হিপ জয়েন্ট এর বল ভেঙে গিয়েছিল তার। কিন্তু চার মাস ধরে ছুটোছুটি করেও কোন বড় বেসরকারি হাসপাতাল ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন করতে চাইনি। শেষ পর্যন্ত লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জেন ডঃ অরিন্দম মন্ডল, হাসপাতাল সুপার এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর সহযোগিতায় স্বল্প সরঞ্জামে অস্ত্রোপাচার করতে সফল হন। রোগী কান্না করতে করতে ডাক্তারবাবুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ডাঃ অরিন্দম মন্ডল জানান, যেহেতু ঘটনাটি চার মাসের পুরনো, তাই একটু ভয় হচ্ছিল কিন্তু তবুও ঝুঁকি নিয়ে, হাসপাতাল সুপার ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সহযোগিতায় অস্ত্র পাচারে সফল হয়েছি। আজকে যখন অস্ত্রোপচারের একমাস পর অর্থাৎ ঘটনার পাঁচ মাস পর রোগী দাঁড়াতে পারছে, এটা দেখেই অনেক আনন্দ হচ্ছে, একজন ডাক্তারের কাছে এর চাইতে বড় পাওয়া আর কিছুই হতে পারে না।
আরও পড়ুন – হাই মাদ্রাসা স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে নমিনেশন দাখিল তৃণমূলের
রোগীর মেয়ে হাসিবা বেওয়া জানান, আমাদের দরিদ্র পরিবার, তবুও বড় বড় হাসপাতাল নার্সিংহোমে গিয়েছিলাম কিন্তু কেউই ঝুঁকি নিতে চায়নি, শেষ পর্যন্ত এই লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তারবাবু ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন করলেন এবং আজ অপারেশনের এক মাস পর মা হাঁটাচলা করতে পারছেন। ডাক্তারবাবুদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। সমাজকর্মী রফিক হোসেন জানান, ডক্টর অরিন্দম মন্ডল এর মতই গুটিকয়েক ডাক্তার রোগীদের খুব ভালো পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, যদি হাসপাতালের সমস্ত ডাক্তার, সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা এইভাবে সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো স্বাস্থ্য পরিষেবায় লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল প্রথম সারিতে থাকবে।