১০০ দিনের প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ প্রধানের বিরুদ্ধে । হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা,তুলসীহাটা ও মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার ১০০ দিনের প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্র পুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপ প্রধান ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীর একাংশ।অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।যদিও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃনমূল নেতা।
পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় তৃনমূল নেতা বুলবুল খান,প্রধান ওয়াহেদা খাতুনের স্বামী কাউসর আলম ও উপপ্রধান ওবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যার স্বামী আশরাফুল হক।ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।দুর্নীতি ও তৃণমূল সমার্থক হয়ে গেছে কটাক্ষ সিপিএম ও কংগ্রেসের।সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করলে দল পাশে দাঁড়াবে না।প্রশাসন আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ১০০দিনের প্রকল্পে পুকুর খনন,বৃক্ষরোপন,রাস্তা তৈরি সহ একাধিক প্রকল্পে কাজ না করে ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত।এই নিয়ে মালদা জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য আসছে লাগাতার হুমকি। দুর্নীতির অভিযোগে সরোব হয়েছেন সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যার স্বামী আশরাফুল হক।তিনি বলেন শুধু বোর্ড বসেছে কাজ হয়নি।সব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চায়।
তৃণমূল নেতা বুলবুল খান জানান,পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা চক্রান্ত শুরু করেছে বাম কংগ্রেস।বাম কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব নেই।তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাদের এটা পরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত্র।তবে তাদের কোনো কাজ হবে না।তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ওয়াহেদা খাতুনের স্বামী কাউসর আলম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন – চন্দ্রজিত পাত্র পরিচালিত MY DEAR SIR সিনেমা দর্শক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে
তিনি বলেন ভোটের আগে ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস ও সিপিএম। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায় বলেন,হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বন্যা ত্রাণ থেকে ১০০ দিনের কাজ সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি হয়েছে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। জেলা সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন,এটা ষড়যন্ত্র নয়।সরকারি টাকা নয় ছয় করা হচ্ছে।যেটা আমার আপনার সবার টাকা।এই টাকা আকাশ থেকে পরে নি,মাটি খুঁড়েও বের হয়নি।
অনেক ক্ষেত্রে কংগ্রেস আদালতে গেছে।শুধু আইনি লড়াই নয়,রাস্তায় নেমেও আন্দোলন হচ্ছে। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে পঞ্চায়ত নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগ বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে শাসকদলের।রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের টাকা গরিব মানুষের টাকা কেউ লুটপাট করলে দল পাশে দাঁড়াবে না,প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। আর কেউ হুমকি দিয়ে থাকলে তা ক্রিমিনাল অফেন্স পুলিশ তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।