রোগমুক্তি কেন্দ্রে কিশোরের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো খড়দহ থানার সোদপুর বুরমাশেট এলাকায়। মৃতর কিশোরের নাম প্রীতম সরকার ( ১৮)। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান প্রিতম এবারের মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ছিল। মৃতর পরিবারের অভিযোগ,ওকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে,শ্যামনগর নাগবাগান রোডের বাসিন্দা প্রীতমকে সোদপুর স্টেশন সংলগ্ন স্পিরিট ফাউন্ডেশন নামক একটি রোগমুক্তি কেন্দ্রে গত ১১ ই এপ্রিল ভর্তি করা হয়েছিল। প্রীতম তার পরিবারকে জানিয়েছিল,দুর্গা পুজোতে সে বাড়িতে যাবে। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ওই কেন্দ্র থেকে ফোন করে জানানো হয়,প্রীতমের জ্বর হয়েছে।
দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎ ফোন করে বলা হয় প্রীতম খুব অসুস্থ, কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে আসতে। তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকজন সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন প্রীতম ওই হাসপাতালের মর্গে মৃত অবস্থায় পড়ে রেয়েছে। যদিও রোগমুক্তি কেন্দ্রের কাউকেই ওই হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়নি। অন্যদিকে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে,ওকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন – উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবায় কয়েকধাপ এগিয়ে গেলো শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ
মৃতের পরিবারের পক্ষে থেকে জ্যাঠতুতো দাদা ডঃ সন্তূ সিকদারের অভিযোগ,মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে বিষ খাইয়ে অথবা পিটিয়ে মারা হয়েছে প্রীতমকে। কারন,ওঁর মুখ থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাজলা বেরিয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সোদপুর স্টেশন সংলগ্ন বুরমাশেট এলাকায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। ওইদিন রাতেই রোগমুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়দহ থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রীতমের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হন মৃত কিশোরের পরিবার ও পরিজনরা। যদিও এব্যাপারে ওই রোগমুক্তি কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই ওঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।