দুর্গাপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে ‘দুর্গাপুজা কার্নিভাল’, বললেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। ইতিমধ্যেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মতি দিয়েছেন দুর্গাপুরে ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’-এর। যা এক ইতিবাচক এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ শিল্পশহর দুর্গাপুরের জন্য। এমনই জানালেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গাপুর-কে রাজ্যের অন্য প্রান্তের বসবাসকারী মানুষজন শিল্পশহর হিসেবেই জানেন।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্যই বেশী চেনেন দুর্গাপুরকে রাজ্যের অন্য প্রান্তের মানুষ সহ ভিন রাজ্যের মানুষেরা। কিন্তু, দুর্গাপুরের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নন রাজ্যের অন্য প্রান্ত সহ ভিন রাজ্যের মানুষ। দুর্গাপুর সংস্কৃতি পরায়ণ শহর যা অনেকেই জানেন না। এখানে দেশের সব ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস। ‘শিল্প নগরীর’ জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগম এই শহরে দীর্ঘ বছর ধরে।
ফলে, এই শহরে যেমন গণেশ পুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, দুর্গাপুজো, কালিপুজো, ছট পুজো ধুমধামের সাথে হয়, পাশাপাশি মানানো হয় ইদ, বড়দিন সহ জৈন, বুদ্ধের বিভিন্ন উৎসব। সকলেই নিজেদেরমত করে পালন করে তাদের উৎসবগুলি। তিনি বলেন, এই শহরের মানুষের মধ্যে এমন মধুর সম্পর্কের মূল কারণ এই শহরের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। তিনি আরও বলেন, এখন শিল্পশহর দুর্গাপুর পরিণত হয়েছে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য নগরীতে।
আরও পড়ুন – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ধামা চাপা দিচ্ছে, অভিযোগ বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের
এখানে রয়েছে আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ল’ কলেজ। রয়েছে একাধিক মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। এনআইটি, সিএমআরআই-এর মত প্রতিষ্ঠান রয়েছে দুর্গাপুরে। চালু হয়েছে বিমান পরিষেবা। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, হেরিটেজের তকমা পেয়েছে ইউনিস্কোর কাছে কলকাতার দুর্গাপুজা। তাই, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা, যাকে ঘিরে আপমর বাঙালি চেয়ে থাকে সারা বছর। সেই উৎসবকে সারা মাস ব্যাপী উজ্জাপন করার কথা ঘোষণা করেছেন।
তাই, দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ শহর দুর্গাপুরে ‘দুর্গাপুজা কার্নিভালের’ সহমতি তিনি জানিয়েছেন’। শেষে মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার অনুমোদিত দুর্গাপুরে ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’ অনুষ্ঠিত হবে ৭ই অক্টোবর। এই মুহূর্তে রুট ম্যাপ ঠিক করা হয়েছে এ-জোন কুমারমঙ্গলম পার্ক থেকে গান্ধী মোড় পর্যন্ত। যাতে অংশ নিতে পারবেন দুর্গাপুরের ছোট-বড় পুজো কমিটি।
তবে, দুর্গাপুর মহকুমার বাকি পুজোগুলির অংশগ্রহণের বিষয়টি আগামী দিনে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হবে। রুট ম্যাপ পরিবর্তনের করা হলেও তা জানিয়ে দেওয়া হবে’। তিনি, মা মাটি মানুষ সংবাদ পত্র-কে জানান, ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’-এর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়, দুর্গাপুরের ঐতিহ্য এবং শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দিকগুলি রাজ্য সহ ভিন রাজ্যের মানুষের কাছে তুলে ধরায় এর মূল লক্ষ্য’।