অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার,বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার,বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার,বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম রাড়িয়াল গ্রামে।ওই সেন্টারে কর্মী লিলা দাসকে ঘিরে ঘন্টা খানেক ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা।

 

অভিভাবকদের অভিযোগ,এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে শিশুদের জন্য নিয়মিত মেলে না পুষ্টিকর খাবার।আবার কখনও বা একটু দেরিতে এলে খাবার ফুরিয়ে যায় বলে সেন্টার থেকে তাড়িয়ে দেয়।সরকারি নির্দেশিকায় শিশুদের জন্য ভাত ও খিচুড়ির সঙ্গে সপ্তাহে তিন দিন গোটা ও তিন দিন অর্ধেক ডিম এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের সপ্তাহে ছয়দিনই গোটা ডিম দেওয়ার কথা থাকলেও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সপ্তাহে মাত্র দুই থেকে তিন দিন কাঁচা ডিম,সাদা ভাত ও খিচুড়ি দিয়ে থাকে।

 

এতে পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।খিচুড়ি এত নিম্নমানের দেয় যে মুখে দেওয়া যায় না।এলাকার মানুষকে অন্ধকারে রেখে দিনের পর দিন দুর্নীতি করে চলেছে ওই কর্মী বলে অভিযোগ।এই নিয়ে তাকে কোনো কিছু জানাতে গেলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে।জানা যায়,আজ সকালে সেন্টারে শিশুর অভিভাবকেরা খাবার আনতে গেলে দেখে শুধু শুকনো ভাত ও কাচা ডিম দেওয়া হচ্ছে।

 

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। প্রিয়াঙ্কা সাহা ও মিলি খাতুনেরা বলেন,“দীর্ঘদিন থেকে নিম্নমানের খাবার দিচ্ছে বাচ্চাদের।খাবার থেকে কখনো কখনো পোকা ও ইঁদুরের মল পাওয়া যায়।ওই খাবার খেয়ে বাচ্চাদের শরীর খারাপ করছে।রান্নায় তেল মশলা কিছু দেয় না।আমরা বার বার বলেও সুরাহা হয়নি।দুই দিন ধরে কোনো ডিম দেয়নি।দুই দিন পর আজকে শুধু একটি করে কাঁচা ডিড ও শুকনো ভাত দিয়েছে।”

আরও পড়ুন – চা ও ঘুঘনি মুড়ি বিতরণ করে কংগ্রেসের প্রতীকী প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী লিলা দাস বলেন,“কোনোদিন খাবার খারাপ দেওয়া হয় না।তবে সময়ের অভাবের জন্য আজ ডিম সিদ্ধ করা হয়নি।তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।” বিডিও অনির্বাণ বসু বিষয়টি তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top