রাজ্যে নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ মহম্মদ সেলিমের। এরাজ্যে নৈরাজ্য চলছে। মুক্তির উপায় একমাত্র গণ আন্দোলন। জলপাইগুড়ি এসে এমনটাই জানালেন সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক তথা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে জেলা পরিষদ অভিযান কর্মসূচীতে শামিল হলেন বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা।
শহরের বড় ডাকঘর মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে জেলা পরিষদের সামনে করা অস্থায়ী সভামঞ্চে পৌঁছন বাম নেতা-কর্মীরা। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মহম্মদ সেলিম, সিপিআইএম এর জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, বাম শিক্ষক নেতা কৃষ্ণ সেন, শ্রমিক নেতা জিয়াউল আলম সহ অন্যান্যরা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সভামঞ্চে পৌঁছন তারা সকলেই। পরে সভায় বলতে উঠে রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে একহাত নেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক।
আরও পড়ুন – জেলার দাবিতে বিডিওর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান
পাশাপাশি এই জেলার সমস্যা নিয়েও সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন সেলিম বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে দেশকে নয়া দিশা দেখিয়েছিল তদানীন্তন বাম সরকার। বর্তমানে পঞ্চায়েত স্তর থেকেই দুর্নীতি ও লুটের রাজত্ব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন শহরের নেতাজি পাড়া থেকে মিছিল করে জেলা পরিষদের সামনে হাজির হন অসংখ্য বাম কর্মী সমর্থক।
এদিন নিজের বক্তৃতায় আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগে দলতন্ত্র কায়েম করেছে রাজ্যের শাসকদল। এরাজ্যে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও অপশাসন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে গণ আন্দোলনই একমাত্র পথ বলে অভিমত বামফ্রন্ট আহ্বায়কের। রাজ্যে নৈরাজ্য