কিশোর কে শিক্ষার দুয়ারে ফেরালেন মানবিক পুলিশ অধিকারিক সুমিত বিশ্বাস

কিশোর কে শিক্ষার দুয়ারে ফেরালেন মানবিক পুলিশ অধিকারিক সুমিত বিশ্বাস

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

কিশোর কে শিক্ষার দুয়ারে ফেরালেন মানবিক পুলিশ অধিকারিক সুমিত বিশ্বাস। পুলিশের মানবিক রূপে উপযুক্ত স্থানে ফিরতে পারলো সাগরদিঘীর যুগরের ১২ বছরের কিশোর। পেটের টানে সামিল হয়েছিল ছোলা বিক্রিতে। তার পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিলেন মানবিক পুলিশ তথা সাগরদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমিত বিশ্বাস। মিনারুল শেখ নামের ১২ বছরের কিশোর।

 

কিছুদিন আগে বাবা কচি শেখ মারা গিয়েছেন। অভাবের তাড়নায়, সংসারের দায় ভার মাথায় নিয়ে মিনারুল শেখ রাস্তায় রাস্তায় বাদাম ছোলা বিক্রি করে বেড়ায়। তার পড়ার স্বপ্ন আছে, কিন্তু সামর্থ্য নেই। তাই প্রতিদিন তাকে বাদাম,ছোলা নিয়ে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে হয়। প্রতিদিনের মতো আজকেও বাদাম-ছোলা নিয়ে সে বেরিয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুন – পুজোর আগে সেভাবে জমলো না বাম কর্মচারীদের নবান্ন অভিযান

শনিবার সাগরদিঘী এস এন হাই স্কুল ময়দানে এক বিশাল সভায় উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে,মিনারুল শেখ তার অর্থ উপার্জনের ছোট্ট ব্যবস্থা নিয়ে উপস্থিত হয়। হাজারো ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ করে ডিউটিরত মানবিক পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়, কিশোর মিনারুল শেখ এর উপর। তাকে দেখে মানবিক পুলিশ আধিকারিকের দয়া হয়। তাকে জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার এত অল্প বয়সে তুমি পড়াশোনা না করে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেন? পুলিশ শুনে মিনারুল শেখের চোখ দুটি জলে ছলছল করে ওঠে।

 

মিনারুল শেখ তার সমস্ত বৃত্তান্ত খুলে বলে। তাৎক্ষণিক পুলিশ আধিকারিক মিনারুল শেখ কে বলে, তোমাকে আর আজ থেকে বাদাম ছোলা এসব বিক্রি করতে হবে না। তুমি পড়তে চাও? তোমাকে আমি পড়াবো। তোমার পড়াশোনার দায়-দায়িত্ব আমি বহন করব। সাগরদিঘীর মানবিক ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমিত বিশ্বাসের এই দৃশ্য দেখে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। যিনি সাগরদিঘীর প্রশাসনিক কাজকর্ম করার পাশাপাশি মানুষের সেবায় সদা সর্বদা নিযুক্ত রয়েছেন। কিশোর কে শিক্ষার

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top