শুভেন্দু সারদাকাণ্ডে ঘুষ নিয়েছেন কীনা তদন্ত করুন – রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে তদন্ত করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। তদন্ত করতে পারবে কাঁথি থানা। আজ স্পষ্ট ভাষায় এই কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ঘুর পথে সুদীপ্ত সেনের কাজ থেকে শরীর শুভেন্দু অধিকারীর কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত যাতে বাংলার রাজ্য পুলিশ করতে না পারে এবং নিশ্চিন্ত থাকার জন্য সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়া যায় তার মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।
জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে জানালো কলকাতা হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সারদা মামলার তদন্ত যেহেতু সিবিআই করছে, তাই এই মামলার তদন্ত ভারও সিবিআই-কেই দেওয়া হোক৷ এমনই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস৷ যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট৷
সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের একটি অভিযোগ নিয়ে বারবারই সরব হয় তৃণমূল। সেটি হল, সুদীপ্ত সেন বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকি তিনি সেকথা চিঠি দিয়েও আদালতে জানান। বর্তমানে সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি এই নিয়ে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিসও। এই নিয়ে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। সেই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি পুলিসের তদন্ত করতে কোনও বাধা রইল না। পাশাপাশি এতে স্বাভাবিকভাবেই চাপ সৃষ্টি হল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন – স্কুল ড্রেস পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বিদ্যালয় প্রাক্তনী যৌথ মঞ্চের
আদালতে মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাস সওয়াল করেন, সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই অবস্থায় আরও একটি সমান্তরাল তদন্ত হয় কীভাবে? অর্থাৎ কাঁথি থানার পুলিস শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করে কীভাবে? ওই কথা শোনার পর আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কাঁথি থানার পুলিস ওই অভিযোগের তদন্ত করতে পারে।
তৃণমূল বারবারই বলে এসেছে সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম সিবিআই তার নথিতে রেখেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। এছর জুন মাসে চিঠি লিখে সুদীপ্ত সেন জানান শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি আদালতে হাজিরা দিতে এসেও তিনি একই কথা বলেন।