মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, ঐতিহাসিক কার্নিভাল চাক্ষুষ করল শহরবাসী। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন বা ভাষান। এই কথার সাথে ওতপ্রোত ভাবে যে দু’টি পুজো কমিটির নাম দুর্গাপুর শহরে জড়িয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে প্রথমটি হল ভিরিঙ্গি নবারুণ ক্লাব এবং দ্বিতীয়টি বেনাচিতি বাজার এলাকার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ। অধুনা শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীতে বসবাসকারী সকলেই অধীর আগ্রহে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করত নবারুণ এবং অগ্রণীর প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রার।
ইস্পাত নগরীর বাসিন্দা সহ সমগ্র শিল্পাঞ্চলবাসী চাক্ষুষ করেছেন হাতি, ঘোড়া, উঁট সহ নানান বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা নবারুণ এবং অগ্রণীর প্রতিমার নিরঞ্জনের সময়। মনে পড়ে যায় সেই দৃশ্য। রাত ১২টা, কখনও রাত ডেড়টা পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ইস্পাত নগরীর ‘গোলারির’ ভেতরে কচিকাঁচা থেকে মহিলাদের দল। অপেক্ষা, নবারুণ এবং অগ্রণীর প্রতিমা নিরঞ্জনের দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে।
সেই নিরঞ্জনের মধুর স্মৃতি এবছর দুর্গাপুরবাসীর কাছে ফের হাজির করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউনেস্কর পক্ষ থেকে দুর্গাপুজো ঐতিহ্য-কে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই বছরের দুর্গাপুজোতে ইউনেস্কর একটি প্রতিনিধি দল এই রাজ্যে আসে।
আরও পড়ুন – আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিমা ভাসানে বাড়লো শব্দবাজির দাপট
তারা এই ‘সম্মান’ রাজ্য সরকারের হাতে স্বীকৃতি হিসেবে তুলে দেয়। এরপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলায়-জেলায় কলকাতার আদলেই ‘দুর্গাপূজা কার্নিভাল’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের সেই সিধান্তকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার দুর্গাপুর শহরবাসীকে উপহার দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। তার ফল চাক্ষুষ করল শহর দুর্গাপুর শুক্রবার সন্ধ্যায়। একে একে শহরের ১৫টি পুজো কমিটির বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা একই জায়গায় উপস্থিত থেকে উপভোগ করলেন শিল্পাঞ্চলবাসী। প্রদীপ মজুমদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল শহর দুর্গাপুরের ভিআইপি রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভাল ২০২২।
এদিনের কার্নিভালে অংশগ্রহণকারি পুজো কমিটিগুলির মধ্যে ছিল, ভিরিঙ্গি নবারুণ ক্লাব, বেনাচিতি বাজারের অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ, নতুন পল্লি সর্বজনীন কমিটি, মার্কোনি দক্ষিণ পল্লি(বি-জোন), বিধাননগরের সেক্টর টু-সি, ক্লাব স্যান্টোস, দুর্গাপুর বাজার ব্যাবসায় সমিতি(টি এন), সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ সর্বজনীন, উর্বশী সর্বজনীন(অম্বুজা), ২৩ নম্বর ওয়ার্ড দুর্গাপুজো কমিটি(এমএএমসি), আশিস মার্কেট সার্বজনীন(এ-জোন), ফুলঝোড় সর্বজনীন, ডুমুরতলা সার্বজনীন(ডিপিএল), বুদ্ধবিহার সার্বজনীন ও গুরুনানক মহিলা সমাজ।
এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সহ মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক তথা এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তৃনমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, দুর্গাপুরের পৌর প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, উপপ্রশাসক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, পুলিশ কমিশনার সহ স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব এবং শহর দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।