বাজেয়াপ্ত শিবসেনার নাম ও প্রতীক, সম্ভাব্য ৩ নাম ও ৩ প্রতীক কমিশনে জমা উদ্ধব ঠাকরের। তকাল নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শিবসেনার কোনও শিবিরই শিবসেনার বর্তমান প্রতীক অর্থাৎ, তির-ধনুক ও দলের নাম ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে শিন্ডে শিবির ও উদ্ধব শিবির, উভয় শিবিরকেই আলাদা আলাদা নির্বাচনী প্রতীক ও নাম ব্যবহার করতে হবে। আসন্ন পূর্ব আন্ধেরির উপনির্বাচনে দুই শিবিরকেই নয়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বলে কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশের পরই প্রতীক ও নাম বাছাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দুই শিবিরই।
তারপরেই আজ দলের নাম ও প্রতীকের তিনটি পছন্দ নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির। তিনটি করে দলের নাম ও প্রতীকের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে দুই শিবিরকেই। তার মধ্যে থেকে একটি করে নাম ও প্রতীক দেবে নির্বাচন কমিশন। এই নয়া প্রতীক ও নাম নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে দুই শিবিরকে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী আজ নিজেদের পছন্দের ৩ নাম এবং ৩ সম্ভাব্য প্রতীক নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এর মধ্যে পছন্দের তালিকায় একদম প্রথমেই আছে শিবসেনা (বালাসাহেব ঠাকরে), দ্বিতীয় পছন্দ রয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) এবং তৃতীয় পছন্দ হিসেবে রয়েছে শিবসেনা (প্রবোধঙ্কর ঠাকরে)। আর দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে প্রথম পছন্দ হিসেবে ত্রিশূল, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উদীয়মান সূর্য এবং তৃতীয় পছন্দ হিসেবে রয়েছে জ্বলন্ত মশাল। সম্ভাব্য নাম এবং প্রতীক নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার পরে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, উদ্ধব ঠাকরের কোন গুরুত্ব থাকতো না যদি প্রয়াত বালা সাহেব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ১৯৬৬ সালে শিবসেনা দলের প্রতিষ্ঠা করতেন। সেই কারণে নতুন নামেও তাঁকে সম্মান জানাতে চাই আমরা।
আরও পড়ুন – খেলার মাধ্যমে প্রয়াত খেলোয়াড়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী কাল অর্থাৎ ১০ অক্টোবর নাম ও প্রতীক জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও এখনও পর্যন্ত নিজেদের পছন্দের তালিকা জমা দিতে পারেনি একনাথ শিন্ডে শিবির।
প্রসঙ্গত, বালাসাহেবের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শিবসেনা ১৯৮৯ সালে তার স্থায়ী প্রতীক পেয়েছিল। সেই বছর থেকেই তির ও ধনুক প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে শিবসেনা। এর আগে ঢাল-তলোয়ার, নারকেল গাছ, রেলের ইঞ্জিন, কাপ-প্লেটের মতো বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এদিকে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে শিবসেনার ২ দশকের প্রতীক নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। বিভক্ত হল বালাসাহেবের দলও। সম্পূর্ণ একার চেষ্টায় একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করে তাকে মহারাষ্ট্রের চালিকাশক্তিতে পরিণত করেছিলেন প্রয়াত বালা সাহেব ঠাকরে।