প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে ডাক্তার পত্নী। সাত সকালে মহিলার হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই। বাধা দিতে গেলে ধাক্কা মেরে পলাতক ছিনতাইকারী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রহৃত মহিলা মিতা পট্টনায়েক (৬৩) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাত সকালে পাড়ার ভেতর থেকে এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মিতা দেবী। তমলুকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিতা পট্টনায়ক সকালে প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভ্রমণ বেরিয়ে তমলুকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্গমিমা মন্দির সংলগ্ন একটি গলিতে হাঁটছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটি ছেলে মিতাদেবীর হাতে থাকা ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করে। সেই সময় তিনি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে গেলে তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে ছিনতাইকারী। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন মিতা পট্টনায়েক।
আরও পড়ুন – খেলার মাধ্যমে প্রয়াত খেলোয়াড়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
ঘটনাস্থলে আসপাশে থাকা কিছু ব্যক্তি ছুটে আসে। তারাই ফোন করে বাড়িতে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বাড়ির লোকজন। পেশায় চিকিৎসক মীতা দেবীর স্বামী উত্তম পট্টনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন মিতা দেবী রাস্তার ধারে বসে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে তৎক্ষণাৎ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মহিলার কোমরের হাড় ভেঙেছে।
অস্ত্র পাচারের প্রয়োজন রয়েছে। মিতা দেবী বর্তমানে ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। মিতা দেবী জানান, ‘আমি ছেলেটিকে আগে কোনদিনই দেখিনি। সেই সময় রাস্তাটা ভোরের বেলা শুনশান ছিল। হঠাৎ পেছন থেকে এসে আমার হাতে থাকা ব্যাগটায় টান মারে সে। আমি বাধা দিতে গেলে আমায় জোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমার ব্যাগটি নিয়ে উল্টো দিকের গলি দিয়ে চম্পট দেয় সে’। মিতা দেবীর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় তমলুক থানায়। তদন্তে নামে তমলুক থানার পুলিশ। এর আগেও কয়েকবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তমলুক শহরে। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাতঃ ভ্রমণে