দুর্গা প্রতিমার মতোই লক্ষ্মী প্ৰতিমা নিরঞ্জন নিয়েও সতর্কতা পৌর নিগমের। দুর্গাপূজার পর এবার কোজাগরী লক্ষীপূজার প্রতীমা বিসর্জনে বিশেষ নজর হাওড়া পৌর নিগমের। হাওড়া পৌর নিগমের অন্তর্গত ৮টি ঘাটে বিজয়া দশমী থেকেই প্ৰতিমা বিসর্জনের পরে পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পৌর নিগম।
হাওড়া পৌর নিগমের সাফাই বিভাগের ২০০জন কর্মী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে নগর নিগম সূত্রে। এই বিষয়ে পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সৈকত চৌধুরী জানান, সার্বজনীন দূর্গাপূজার লক্ষ্মী প্রতিমা ছাড়াও বহু বাড়িতে লক্ষ্মী প্ৰতিমা রয়েছে। এর সংখ্যা দুর্গা প্রতিমার চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন – দেওয়াল কেটে ব্যাঙ্কে চুরি, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
ফলে, দূর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন চেয়ে অনেক বেশী সংখ্যায় লক্ষ্মী প্রতিমার বিসর্জন হয়। রবিবার লক্ষ্মী পূজা ছিল। পরের দিন সোমবার থেকেই হাওড়ার ঘাটগুলিতে পৌরনিগমের সাফাই বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন। এদিন রাত পর্যন্ত যত প্রতীমা বিসর্জন হবে সেই সব কাঠমোগুলি রাতের মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই বছর প্ৰতিমা নিরঞ্জনের পরই কাঠামো সরিয়ে গঙ্গার ঘাট ও গঙ্গা নদীকে দূষণের হাত থেকে তাঁরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। একইভাবে লক্ষ্মী পুজোর পরই গঙ্গার পাড়ের অবস্থা তাঁরা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছেন। এছাড়াও তিনি জানান, রামকৃষ্ণপুর ঘাটেই ২০ জন কর্মী রয়েছেন।
প্ৰতিমা ছাড়াও ফুল ও অনুষাঙ্গিক অন্যান্য জিনিষ ফেলার জন্য ঘাটের পাশেই নির্দিষ্ট স্থান রাখা হয়েছে। কাঠামো সহ সব কিছুই তাঁরা ডাম্পারের সহযোগিতায় বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছেন। দূষণ মুক্ত গঙ্গা ও আবর্জনাহীন পরিষ্কার গঙ্গার ঘাট বজায় রাখায় তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই সতর্কতা নিয়েই তাঁরা কাজ করছেন। এছাড়াও সকলকে হাওড়া পৌর নিগমের পক্ষ থেকে শারদীয়ার শুভেচ্ছাও জানান পৌর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য সৈকত চৌধুরী।