সম্পর্কের সততা যখন শরীরে বাধা। হরিদেবপুরের ত্রিকোণ প্রেম ও পরিণতিতে প্রমিকার খুন কোন নতুন ঘটনা নয়। যৌনতার জটিলপথে আদিমতাই শেষপর্যন্ত জয়ী হয়। সম্পর্ক নয়। এমন ত্রিকোণ প্রেমের কথা নতুন নয় যে মা ও মেয়ে একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছে এবং এরফলে খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আগেও বহু ঘটেছে। তবে এইধরণের সম্পর্কের পরিণতি কখনোই ভাল হয়নি।
ভাল হয়না। ভয়ংকর সমাপ্তি ঘটে। মানসম্মান, অর্থ, জীবন সব চলে যেতে পারে সেই আশঙ্কা থাকেই। বছর কয়েক আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার শহরতলি সোনারপুরে এমন ঘটনা ঘটেছিল। শেষপর্যন্ত মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। স্বামী ভদ্রলোক দুরে চাকরী করতেন। ফলে মহিলা মাঝবয়সী হলেও তার শারীরিক চাহিদা মেটানোর অন্যকোন পথ ছিল না। আঁকড়ে ধরেছিলেন মেয়ের প্রেমিককে। মেয়ে হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলার পর নিজে আত্মহত্যা করে।
মাও প্রেমিক জেলে যায়। যৌনতা পরিণতির কথা মনে রাখেনা। মা মেয়ে কেন; সৎ মেয়ের সঙ্গে সৎ বাবার সম্পর্কও আকচার ঘটে। বিশ্বের সেরা ধনী এলোন মাস্কের পিতা এরল মাস্ক সৎ মেয়ের গর্ভে দুই সন্তানের জন্ম দেন। যৌনতায় প্রয়োজনই শেষকথা। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পালিত বাবার বিরুদ্ধে। ফলে যৌনতার জটিল সম্পর্কের তল খুজেঁ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। উত্তেজনার মুখে যাকে সবথেকে নিরাপদ ও হাতের কাছে পাওয়া যায় তার সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরচেয়েও আরো একটি বিষয় যৌন পার্টনার বদলের ঝোঁক থাকে। বিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে এই ঝোঁক বেশী।
আরও পড়ুন – বাঁকুড়ার পোড়া পাহাড়ে রহস্যময় গুহার সন্ধান, আদিম মানুষের বসবাসস্থল দাবী স্থানীয়দের একাংশের
সেক্ষেত্রে অবিবাহিতরা অনেক বেশী সৎ থাকেন পার্টনারের প্রতি। বিবাহিতদের এই সততা কম। সে আরেক বিবাহিত পুরুষের ঘর ভাঙার পাপ নেয়। তা নিয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। হত্যা আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে থাকে। এর ভুরিভুরি প্রমাণ আছে। তাই হরিদেবপুরের ঘটনায় আশ্চর্য হবার কিছু নেই। একটু আলাদা এই যা। এই ত্রিকোণ প্রেম পরিবারের লোকেদের নজরে আসতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। যার পরিণতি স্বামী ও ছেলের হাতে প্রেমিক খুন হয়ে গেল।
একজন মারা গেল। বাকি পরিবারের জেলে ঠাই হল। এই ধরণের মানুষদের এইসব সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো বেশী সতর্ক হওয়া উচিৎ। হরিদেবপুরের ঘটনায় একদিকে প্রীতি, অন্যদিকে, প্রীতির মা, দু’জনের সঙ্গেই নাকি সম্পর্ক ছিল মৃত অয়নের। এই ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন অয়ন, প্রশ্ন উঠছে। তদন্তে এখনও রয়েছে বেশ কিছু ফাঁক ফোকর। অয়নের মায়ের দাবি, যারা ছেলেকে মেরেছে তাদের ফাঁসি দেখতে চাই, ওরা বেঁচে থাকলে আরও অনেক মায়ের কোল খালি হবে।