ভাঙা পিলখানায় গোঁসা কুনকি চন্দনের! অভিমানে জঙলে আশ্রয়

ভাঙা পিলখানায় গোঁসা কুনকি চন্দনের! অভিমানে জঙলে আশ্রয়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ভাঙা পিলখানায় গোঁসা কুনকি চন্দনের! অভিমানে জঙলে আশ্রয়। দিন কয়েক হলো মেজাজ বিগরে আছে চন্দনের। সাথে বেশ কিছুটা অভিমান ও মনখারাপ। শান্ত স্বভাবের কুনকি চন্দনের পিলখানার প্রতি কোন নজর নেই বক্সা বনকর্তাদের। আর এতেই রাগে অভিমানে ঘর ছেড়েছে শান্ত কুনকি চন্দন। দিন কয়েকের মধ্যে চন্দনের স্বভাব চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে। হঠাৎই রেগে যাচ্ছে।

 

এদিক ওদিক ছুটে চলে যাচ্ছে। উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগে চন্দনের থাকার পিলখানার একমাত্র ঘরের চালের অনেকটা অংশ ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। এর ফলে ঝড় বৃষ্টি এবং রোদ মাথায় মিয়ে দিনপাত করতে হচ্ছে তাঁকে। এই নিয়ে প্রচন্ড রাগ তাঁর। হাবে ভাবে, চিৎকার করে নানা অভিব্যাক্তিতে সেটা বুঝিয়েও দিচ্ছে সে। কিন্তু কেউই তাঁর ঘর মেরামত করার উদ্যোগ নিচ্ছে না। চন্দন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছিপড়া বিটের কুনকি হাতি। মাহুত, পাতাওয়ালা এবং বনকর্মীরা চন্দনের কষ্ট বুঝতে পারছেন। কিন্তু তারাও নিরুপায়।

 

তাঁদের থেকে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে তাঁকে। বিশ্ব কর্মা পুজার দিন সে পুজা না নিয়ে অভিমানে জঙ্গলে চলে যায়। কারণে অকারণে রেগেও যাচ্ছে। তাঁর স্বভাবের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে ইদানিং। বনকর্মীদের অভিযোগ, চন্দনের থাকার ঘরের এমন হালের কথা বার বার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে, কিন্তু পিল খানার চাল মেরামতির কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পিল খানার চারদিক জঙ্গলে ভরে গিয়েছে।হাতির বিষ্ঠা ঢাই করে রাখা আছে পিল খানার পাশেই। পর্যটকেরা ঘুরতে এসে কুনকি হাতি চন্দনের এমন অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কোলকাতার এক পর্যটক অরুনাংশু দে জানান, বন দপ্তর পিলখানা মেরামত টুকু করতে পারছে না সেটা ভাবতে পারছি না।

আরও পড়ুন – বাঁকুড়ার পোড়া পাহাড়ে রহস্যময় গুহার সন্ধান, আদিম মানুষের বসবাসস্থল দাবী স্থানীয়দের একাংশের

প্রকৃতি প্রেমী জীবন কৃষ্ণ রায় জানান, বুনো হাতি জঙ্গলে সব পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে।তাই তাঁদের রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিন কাটে। কিন্তু কুনকি হাতিদের আটকে রেখে প্রশিক্ষণ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যত্ন আত্তি করায় তাঁদের জীবনযাত্রা অনেক পরিবর্তন আসে। স্বভাবের অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে সহ্য ক্ষমতাও পরিবর্তন হয়। তাই পিলখানা সুন্দর এবং স্বাস্থ্য সম্মত হওয়া জরুরি। দ্রুত পিলখানার ঘর মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অমিতেষ সতপথি জানান, ঝড়ে পিলখানার চালের কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। এতে চন্দনের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই মেরামত করে দেওয়া হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top