সেতু কংক্রিট করার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের দু’দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার অন্তর্গত হুমগড় এলাকায় কংক্রিট সেতুর দাবিতে দু’দিন ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের দাবি, ‘এলাকার মাঝে শিলাবতী নদীর উপরে থাকা কাঠের সেতুর বদলে পাকা সেতু করে দিতে হবে। সঠিক প্রতিশ্রুতি না পেলে অবস্থান চলবে’।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ২ ব্লকের অন্তর্গত হুমগড় এলাকায় শিলাবতী নদী রয়েছে। ব্লকের এক প্রান্তে রয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া, ললিতপুর মদনাপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম। শিলাবতী নদীর অন্য প্রান্তে রয়েছে আমলাশুলি হুমগড় সহ ব্লক সদরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি। বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলিও এই প্রান্তে। মাঝে শিলাবতী নদীর ওপর দিয়ে বাম আমল থেকে যাতায়াতের মাধ্যম কাঠের সেতু। যা প্রতিবছরই বর্ষা ও বন্যাতে ভেঙে ধুয়ে যায়।
এ বছর বন্যাতেও তাই হয়েছে। তাছাড়াও সেতুটির ওপর দিয়ে বর্ষা বন্যার পর যাতায়াত করতে গিয়ে বহু মানুষ পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় গৃহশিক্ষক দেবাশীষ দে বলেন, ‘উল্টো প্রান্ত থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী আমার কাছে পড়তে আসে। কিন্তু বর্ষার সময় তিন মাস তারা আসতে পারে না। আমার কাছে পড়তে আশা ছাড়াও তারা স্কুলে হাজির হতে পারে না নিয়মিত। কারণ, বেশিরভাগ সময় সেতু ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়।
স্রোত থাকা নদীতে বিপদ সংকুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বহু মানুষ এই তিন মাস স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারে না। তাই মজবুত কংক্রিট সেতু প্রয়োজন’। স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদেরও একই দাবি। ব্যবসার কাজ বা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে সমস্যায় পরতে হয় তাদের এই অস্থায়ী সেতুর কারণে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। কারণ, নদী পার হয়ে এই ব্লকের সদরে আমলাশুলি হুমগড় এলাকায় বেশিরভাগ স্কুল।
সেই ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীরা এলাকার চারটি বিদ্যালয় থেকে গত দু’দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে হুমগড় এলাকায়। রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে তারা। ওই ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে কংক্রিটের সেতু নির্মাণের পাকা প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবেই অবরোধ উঠবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই অবরোধের জেরে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক প্রতিশ্রুতি দিলেও বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তারা অবরোধ তোলেনি।