ভুটানে চলছে অবাধ মাইনিং, কেন্দ্রীয় সরকারের চরম উদাসীনতায় খাদের কিনারায় গোটা ডুয়ার্স। প্রতিবেশী পাহাড়ি দেশ ভুটানের অবৈধ, অবাধ ভাবে মাইনিং-এর বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই কেন্দ্র সরকারের। এর জেরে কার্যত বিনা বাধায় গোটা ভুটান পাহাড় জুড়েই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চলছে দেদার ডলোমাইট উত্তোলন।দুই প্রতিবেশী দেশের সমন্বয়ের অভাবে যে কোন সময় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে গোটা ডুয়ার্সে।
ভুটানে অবৈধভাবে মাইনিং-এর কারণেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ তরাই ডুয়ার্সের একাধিক অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদের আশংকা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসন বেশ কয়েক বার ভুটান সরকারের সাথে এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও আখেরে কাজের কাজ কিছু হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবী কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করলে একা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।কারণ যেহেতু এই বিষয়টি দুই দেশের আর্ন্তজাতিক সমস্যা।তাই কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধি দল ভুটান সরকারের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
এছাড়াও প্রতিনিয়তই ভুটান পাহাড়ে ভারি বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সের একাধিক এলাকা প্রায় জলের তলে চলে যায়।যদিও ভুটান পাহাড়ে কী পরিমান বৃষ্টি হলো তার কোন আগাম পূর্বাভাস এ রাজ্যের আবহাওয়া দপ্তরকে জানানো হয়না।ফলে ভুটান পাহাড়ের ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টি নিয়ে সর্তক হতে পারেনা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল থেকে শুরু করে জেলার প্রশাসন। সম্প্রতি ডুয়ার্সের মাল নদীতে হড়পাবানে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর টনক নড়েছে কেন্দ্র সরকারের।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জনবারলার।এছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি বিধায়ক মৃতদের পরিবারকে সান্ত্বনা প্রদান করে এসেছেন।
যদিও সমস্যার সমাধানের পথ দেখাতে পারেননি পদ্ম শিবিরের মন্ত্রী, বিধায়করা।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা বলেন আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের প্রতিমন্ত্রী সাংসদ জনবারলার সাথে কথা বলেছি।শীঘ্রই ভুটান সরকারের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার সূত্র খোঁজা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতায় ভুটানের মাইনিং সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।এর জেরে যে কোন সময় বিপাকে পড়তে পারেন গোটা ডুয়ার্সের মানুষ। তখন এর দ্বায়িত্ব নিতে হবে বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কদের।