সহবাসের পর ‘বেপাত্তা’ প্রেমিক!বিয়ের দাবি নিয়ে ধর্নায় বসলেন উত্তর প্রদেশের যুবতী। নববধূর সাজসজ্জা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে ছুটে এসে বিয়ের দাবিতে হবু স্বামীর বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসলেন যুবতী।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে।
সকাল থেকেই ওই যুবতী ধর্নায় বসে রয়েছেন বলে জানা গেছে।এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই যুবতীর বাড়ি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিজনোর জেলার বিচপরী মান্ডিয়া এলাকায়।তার নানার বাড়ি রয়েছে বাংরুয়া গ্রামে।গত তিন বছর আগে ওই যুবতী নানার বাড়ি ঘুরতে আসলে বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মজিফুলের ছেলে ইব্রাহিম আলি তার প্রেমে পড়েন।শুরু হয় আলাপ,সেই আলাপ ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়।দু’জনের সম্মতিতেই সহবাসও করেন।কিন্তু এতকিছুর পরেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক!অগত্যা বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে পড়লেন প্রেমিকা।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
যুবতী জানান, ইব্রাহিমের সঙ্গে তার দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া,থাকা,ঘুরতে যাওয়া সবই চলছিল। এমনকি দিল্লির এক হোটেল এক সঙ্গে ১৫ দিন রাত কাটিয়েছেন।একাধিকবার দু’জনে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন বলে জানান ওই যুবতী।কিন্তু তাল কাটে ইব্রাহিমের কথাতেই।যুবতীর দাবি,তার কাছ থেকে ছেলে দফায় দফায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে।সেই টাকা বাড়িতে পাঠিয়েছে।
বিয়ে করতে বললেই নানা কারণে এড়িয়ে যেত ইব্রাহিম।
বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় দিল্লিতে।সেখানে এক হোটেলে ১৫ দিন রাত কাটানোর পর সেখান থেকে আজমীর শরীফে নিয়ে যায়।তাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করতো ইব্রাহীম।সেখানে কয়েকদিন থাকার পর যুবতিকে একা রেখে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে যুবক।
কিন্তু এখন বেঁকে বসেছে যুবক।বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।তাঁর আরও দাবি,তারা দুজনে একসাথে নববধূর সাজসজ্জা কিনে রেখেছে।তার কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে।তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছেলের পরিবার সবকিছুই জানেন।এখন সবাই অস্বীকার করছে।
যুবকের মা হেনা বিবি জানান,তাদের প্রেমের সম্পর্ক সে কিছুই জানে না।ছেলে বাড়িতে আসেনি।সে কোথায় আছে জানে না। সহবাসের পর