করণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে ইচ্ছাপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

করণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে ইচ্ছাপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

করণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে ইচ্ছাপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় এল বিশাল মাপের বিনিয়োগ। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পোর্টস এন্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করার জন্যে বিনিয়োগ করবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। যেখানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় এক লক্ষ। আজ নিউটাউনের ইকো পার্কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে আদানি পোর্টসের কর্ণধার তথা গৌতম আদানির ছেলে করণ আদানির হাতে ইচ্ছাপত্র তুলে দিলেন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বুধবার নিউটাউনের ইকোপার্কে আয়োজতি হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনী৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা৷ সেখানেই করণ আদানির হাতে লেটার অফ ইনটেন্ড বা ইচ্ছাপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে হতেই তাজপুর বন্দর করার জন্য ইচ্ছাপত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দিলেন। কিছুদিন আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাজপুর পোর্ট আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে। তারপর আজই এই কলকাতায় আসেন করণ আদানি।

 

তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠীর হাতে ইচ্ছাপত্র তুলে দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “রাজ্যে অনেক শিল্প হচ্ছে। জঙ্গলমহলকে কেন্দ্র করে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। এ বারের দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। রাজনীতি খুব ভাল। কিন্তু নেতিবাচক রাজনীতি ভাল নয় রাজ্যের জন্য নয়। আমার বিরোধীদেরও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের সুস্থতা কামনা করি।’’ রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আজ খুব আনন্দের দিন। ইচ্ছাপত্র দেওয়া হল করন আদানিকে। তাজপুর পোর্ট নিয়ে ওরা আরও কাজ করতে পারবেন। তাজপুর পোর্ট নিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে৷’’

 

প্রসঙ্গত গত মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠকে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাজপুরে বন্দর তৈরি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিছু আইনি জটিলতা দেখা দেয় তা নিয়ে। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে যাওয়ায় শেষমেশ তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত পেল আদানি গোষ্ঠীই। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের পরে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই তাজপুরে বন্দর করার জন্য টেন্ডার ও ডিপিআর প্রসেস চলছিল। দু’জন অংশগ্রহণ করেছিল এ বিষয়ে। তাজপুর বন্দর করতে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। কেন্দ্র কোনও সাহায্য করেনি। রাজ্য নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে করেছে।’’

তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরিতে সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে দাবি, তাজপুর বন্দরে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১ লক্ষ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top