হড়পা বানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়ে প্রধান বিচারপতি ও গ্রীন ট্রাইবুনালে আবেদন স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের। মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং বিচার চেয়ে প্রধান বিচারপতি সহ গ্রীন ট্রাইবুনালে আবেদন স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের। গত ৫ই অক্টোবর ছিলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ পূজা দুর্গা পূজার প্রতিমা নিরঞ্জনের। সেইদিন মাল নদীতে চলছিলো প্রতিমা নিরঞ্জন তারই মধ্যে হঠাৎ আসে হড়পা বান।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে বার বার বলে আসছিলো যে প্রবল বৃষ্টি রয়েছে উত্তরবঙ্গে তার সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন ও মাল পুরসভার পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলোনা কেনো এবং পর্যাপ্ত পরিমানে সিভিল ডিফেন্স কর্মী নিয়োগ করা হলোনা কেনো এমনটাই প্রশ্ন তুলে ঘটনাকে কার্যত ম্যানমেড বলে আখ্যা দিয়ে ঘটনার তদন্ত এবং সুবিচারের আবেদন করে প্রধান বিচারপতি সহ গ্রিন ট্রাইবুনালে আবেদন করলো হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশন নামে এক স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন। জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে আসা হড়পা বানে ভেসে যায় বহু মানুষ যার মধ্যে সরকারি হিসেবে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই রাজ্য তথা দেশবাসী জেনেছে।
জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের সভাপতি নোবেন্দু মৌলিক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, মাল নদীতে হড়পা বানে আট জনের প্রাণ চোলে গেলো সেটা খুব দুঃখ জনক ঘটনা। সিভিল ডিফেন্স ছিলো মাত্র কয়েক জন। তাদের হাতে খালি দড়ি ছাড়া কোন রকম ইকুউবমেন্ট ছিল না। মাল নদীতে ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য একদিকে যেমন মালবাজার পৌরসভার ব্যাবস্থার ওপর প্রশ্ন তোলা হয়েছে, পাশাপাশি নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া এবং নদীর বুকে অবৈধ ডামপিং গ্রাউন্ড তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
এই বিষয়গুলো নিয়েই আজ কলকাতা হাই কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি সহ জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালে ঘটনার তদন্ত এবং সুবিচারের আবেদন জানালাম বলে জানান নব্যেন্দু মৌলিক। এই বিষয় নিয়ে মাল পুরসভার চেয়ারম্যান সপন সাহাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু নদির মধ্যে চ্যানেল কাটার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছিলেন, নদির গতি পথ পরিবর্তনের জন্য যে ডিফ্লেক্টরের দরকার হয়, সেই রকম কোন ডিফ্লেক্টর কিন্তু দেখা যায়নি।
শুধু তাই নয় জেলা শাসকের দাবি মাল নদীতে হড়পা বানের মত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটনায় জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভুমিকা ছিল, তা না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা ছিল বলে সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছিলেন জেলা শাসক। এছাড়াও জেলা শাসক বলেন মাল নদিতে জল খুবই কম ছিল, তাই প্রতিমা ভাসানের জন্য নদিতে চ্যানেল কাটিং করা হয়েছিল জলের গভিরতা বাড়ানর জন্য, কিন্তু নদির গতি পথ পরিবর্তের জন্য যে ডিফ্লেক্টরের প্রয়োজন সেটা দেখা যায়নি। নদী বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার কথাও জানিয়েছিলেন জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।