মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে অফিসে উত্তেজনা । একদল উত্তেজিত জনতা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের মধ্যে ঢুকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালকে মারধর ও হেনস্থা করেন। গোটা ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাস। এই ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে বহরমপুর থানার গোটাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বুলবাহার শেখ পেটের যন্ত্রণাতে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
এরপর তিনি বহরমপুরে ডাঃ নেফাউর রহমানের অধীনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। বুলবাহারের পরিবারের লোকেরা বলেন, কিছুদিন ওই ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুলবাহার বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি ফেরার কিছুদিন পর ফের পেটে ব্যথা শুরু হলে বুলবাহারের পরিবার আবার ডাক্তার রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ডাক্তার তাঁকে আবার নার্সিংহোমে ভর্তি হতে বলেন। বুলবাহারের লোকেরা অভিযোগ ডাক্তার সেখানে তাঁকে ঠিকমতো চিকিৎসা না করে দীর্ঘদিন ধরে নার্সিংহোমে ফেলে রেখেছেন এবং বিল বাড়িয়ে চলেছেন। অভিযোগ পরিবারের লোকদেরকে বলা হয়েছে প্রায় ২.৩০ লক্ষ টাকা চিকিৎসার বিল হয়েছে এবং এই টাকা না দিলে বুলবাহারকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়া হবে না।
এরপরই অসুস্থ রোগীর আত্মীয়রা তাঁকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়াতে হরিহারপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করেন। আজ দুজনকে নিয়ে বুলবাহারের গ্রামের কয়েকশো লোক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালের কাছে দেখা করে ওই নার্সিংহোমে এবং ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আসেন। অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক এবং সভাধিপতির সামনে একদল উত্তেজিত জনতা হঠাৎই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে কলার ধরে মারধর করা শুরু করে। সেই সময় কোনও রকমে কিছু নিরাপত্তারক্ষী ডাঃ সান্যালকে তাঁর ঘরে ঢুকিয়ে দেন।