বৃষ্টির আশংকা নিয়ে জমে উঠল দুরামারির লক্ষী মেলা। কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি পাতের কারনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বানারহাট ব্লকের কৃষিবলয় দুরামারিবাসীর। কারন দুরামারি বাসীর সারা বছরের শ্রেষ্ট উৎসব লক্ষী পূজো ও তার মেলা৷ লক্ষী পূজো ভালো ভাবে মিটে গেলেও লক্ষী পূজোর মেলা কে কেন্দ্র করে আংশকার কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছিল দুরমারীবাসীর মনে। যদিও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে বুধবার রাত থেকে শুরু হয় ৪৪ তম দুরামারি লক্ষী পূজো মেলার। স্থানীয় ক্লাব দুরামারী স্পোর্টিং এসোসিয়েশন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই মেলা। দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাই স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মেলা। বুধবার স্থানীয় শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপিকা ওরাও ও উপপ্রধান নির্মল রায় এই মেলার উদবোধন করেন।
দুরামারি ও সন্নিহিত এলাকায় প্রায় ৩১ টি ক্লাব লক্ষী পূজোর আয়োজন করে থাকে। মেলার দিন গুলোতে প্রতিটি ক্লাব তাদের প্রতিমা গুলিকে প্রদর্শনীর জন্য মেলায় নিয়ে আসে। এবারেও সেই প্রতিমা গুলো মেলায় নিয়ে আসা হয়। প্রচুর মানুষ বুধবার মেলায় ভিড় জমান। মেলা কমিটি সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ও চলবে এই মেলা। ৪৪ তম সার্বজনীন লক্ষী মেলা কমিটির সম্পাদক দীনেশ্বর রায় বলেন, ” য়েভাবে বৃষ্টি – পাত হচ্ছে তাতে মেলার আয়োজন করা যাবে কিনা তা নিয়ে আমরা আংশকায় ভুগছিলাম।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
দুরামারিবাসী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ এই পূজো ও মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। তাই আমরা বিভিন্ন পূজো কমিটির সাথে আলোচনা করে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই। বুধবার বৃষ্টির ভয় কে উপেক্ষা করে মানুষ মেলায় ভিড় জমান। আমরা আশা করছি বাকি দিন গুলোতে একই ভাবে ভিড়ে ঠাসা থাকবে এই মেলা। ” স্থানীয় মেলা ব্যবসায়ী উপেন রায় বলেন, ” লক্ষী পূজোর মেলা দুরামারীর অর্থনীতি কে নিয়ন্ত্রন করে। আমরা সারা বছর এই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকি। বৃষ্টির জন্য মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
কিন্তু বুধবার প্রথম দিনে মেলায় ভালো ভিড় হয়েছে। আশা করি বাকি দুদিনে ভালোই ভিড় হবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী চন্দন রায় বলেন, ” আমাদের গ্রামের প্রধান উতসব লক্ষী পূজো ও মেলা। দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হলেও আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব লক্ষী পূজো। এবছর এই অকাল বৃষ্টি পাতের কারনে এই মেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়। যদিও প্রথম দিনে বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় মেলা জমে ওঠে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো জাতে এই কটা দিন বৃষ্টি না হয়। “