দীর্ঘ দিনের পুরনো তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবার রাজ্যের মহিলা আসনের সাধারণ সম্পাদিকা পদে

দীর্ঘ দিনের পুরনো তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবার রাজ্যের মহিলা আসনের সাধারণ সম্পাদিকা পদে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দীর্ঘ দিনের পুরনো তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবার রাজ্যের মহিলা আসনের সাধারণ সম্পাদিকা পদে। দীর্ঘ দিনের পুরনো তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবার রাজ্যের মহিলা আসনের সাধারণ সম্পাদিকা পদে উন্নিত হলেন। বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামের তৃণমূল নেত্রী তথা খয়রাশোল পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি অসীমা ধীবর সম্পাদিকা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

 

১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই প্রত্যন্ত গ্রামের একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের জন্য। ২০০১ এক সালে দুবরাজপুর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন অসীমা ধীবর , কিন্তু সে সময় সিপিএমের কাছে তিনি পরাজিত হন। কিন্তু পরাজয় স্বীকার করার পরেও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি এই সাদামাটা তৃণমূল নেত্রী অসীমা ধীবর।

 

পরে ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে গুরুত্ব বারে অসীমা ধীবরের। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন তিনি। তিনি জানান বাম জমানায় চৌএিশ বছর লড়াই করতে করতে অবশেষে ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল। লাল সন্ত্রাসের জেরে দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকার সমগ্র মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছিল। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই , প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আমার মত একজন কর্মীকে এত বড় নিয়ে গিয়ে সম্মানিত করেছে ও মানুষের কাজ করবার জন্য আরও বড় মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে।

 

আমি আমৃত্যু এই পদের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি তিনি আক্ষেপের কথা শোনান , ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমেই তার নাম বিবেচিত হয়েছিল দুবরাজপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার জন্য , কিন্তু পরে কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার নাম বাদ যায়।তবে রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকার পদ পেয়ে সেই দুঃখ কষ্ট কিছুটা হলেও মিটবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বর্তমানে দুবরাজপুর বিধানসভা বিজেপির দখলে , ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দুবরাজপুর বিধানসভা আসনের তৃণমূল জিততে চায় বলেই এখন থেকেই অসীমা জীবনের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস লড়তে চায় বলে এত বড় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top