ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ি অনত্র আশ্রয় নিচ্ছেন নারায়ণপুর চর ও হুকমতটোলার বাসিন্দারা। গঙ্গা ভাঙ্গন লাগাতার হলেও হেলদোল নেই কেন্দ্র সরকারের।কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতার জেরে ভিটে মাটি হারিয়ে গৃহহারা একাধিক পরিবার।
গঙ্গা ভাঙনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন ভাঙন দূর্গতরা। আবারও গঙ্গা ভাঙনের জেরে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরাচ্ছেন মানিকচকের নারায়নপুর চর ও গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হুকমত টোলাবাসীরা।মালদহের মানিকচক বিধানসভার অন্তর্গত নারায়ণপুর চর। এখানে প্রায় ৫০০টি পরিবারের বসবাস। অন্যদিকে হুকমত টোলা এলাকায় অহরহ চলছে ভাঙ্গন। এই আতঙ্কে জেরবার প্রায় ২০০ পরিবার।
ভাঙ্গনের জেরে ঘর বাড়ি ভেঙে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছেন বহু পরিবার।
আরও পড়ুন – রায়দিঘীতে পুকুর থেকে উদ্ধার কুমির
ভাঙন আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তারা বাড়ি ভেঙে কোথায় ঠাঁই নেবেন তা তাদের জানা নেই। অনেকে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।অনেকের অভিযোগ যদি এই ভাবে ভাঙন চলতে থাকে তবে তবে আমাদের ভিটা মাটি ছাড়া হতে হবে।স্থানীয়দের দাবি সরকারের কাছে তাদের যদি বসবাসের জন্য কলোনির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।অপরদিকে মানিকচক নারায়ণপুর চর এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরে চলছে ভয়াবহ ভাঙ্গন।
ভাঙ্গনের জেরে প্রায় চল্লিশ টি ঘরবাড়ি সহ প্রায় তিন কিলোমিটার জমি তলিয়ে যায় নদী গর্ভে।এমুহূর্তে ভিটে মাটি হারিয়ে নারায়নপুর চর এলাকা ছেড়ে মানিকচক ঘাট এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বহু পরিবার।খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে দুর্গতরা।দুর্গতদের দাবি তাদের কলোনী ও পুনঃবাসন করে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে নারায়ণপুর চর এলাকায় বাসিন্দা মহেশ চৌধুরী বলেন, বিগত কয়েকদিন থেকে ব্যাপক ভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।মানিকচক ঘাট এলাকায় আশ্রয় নিয়েছি।মালদহ সেচ দফতরের সুপারটেনডেন্ট উত্তম পাল জানানা, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ভাঙ্গন আতঙ্কে