দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী থেকে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য বঞ্চিত গোটা একটা আদিবাসী সম্প্রদায় । কথায় আছে ‘জলের অপর নাম জীবন’কিন্তু দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী থেকে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য বঞ্চিত রয়েছে গোটা একটা আদিবাসী সম্প্রদায়।আদিবাসী পরিবার বলেই কি তারা বঞ্চিত,নাকি গরীব অসহায় বলে অবহেলার পাত্র ? নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের মনে।
জানা গেছে,গ্ৰামে পানীয় জল সরবরাহে পাইপলাইন পাতা হয়েছে।রাস্তার ধারে বসানো হয়েছে ট্যাপকল। কিন্তু কাজ শেষের কয়েক মাস পরও জল মিলছে না।এতে ক্ষোভে ফুঁসছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের দুই শতাধিক আদিবাসী পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,গ্রামে সরকারি ভাবে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য পাইপ লাইন বসানো হলেও হাত গুটিয়ে নিয়েছে জল সরবরাহকারী সংস্থা।জল দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।এদিকে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে গ্ৰামে।এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই আজও ভরসা করেন হাতেগোনা কয়েকটি অগভীর নলকূপের ওপর।প্রতিদিন জল আনতে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয় মহিলাদের।এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে, দুই শতাধিক আদিবাসী পরিবারের জন্য রয়েছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি অগভীর নলকূপ।সেই সব অগভীর নলকূপের আর্সেনিক যুক্ত জল পান করে পেটের নানান রোগে ভুগছে গ্রামবাসীরা।স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও হয়নি কোন কাজ।
আরও পড়ুন – রায়দিঘীতে পুকুর থেকে উদ্ধার কুমির
স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় মিশর জানান,অগভীর নলকূপের জল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গ্রামের মানুষজন।এই জল দিয়ে রান্নাবান্না করছে গৃহবধূরা। এলাকার প্রায় সব গ্রামে বাড়ি বাড়ি জল মিশন প্রকল্পের ট্যাপকল পৌঁছালেও এই গ্রামে এখনো পর্যন্ত পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পৌঁছায়নি ট্যাপকল।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে জলের সমস্যা সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা করবেন।