কেন্দ্রের চরম উদাসীনতায় প্রতিবেশী দেশ ভুটানের পাহাড় থেকে অবাধ অবৈধ মাইনিং-এর জেরে একপ্রকার খাদের কিনারায় গোটা ডুয়ার্সের মা মাটি মানুষ। অভিযোগ ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা কেন্দ্র সরকারের প্রতিমন্ত্রী জনবারলা থাকলেও গত সাড়ে তিনবছরে কেন্দ্রের তরফে ভুটানের এই অবৈধ মাইনিং রোধে তিনি কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। যদিও ভুটান পাহাড়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে মাইনিং রোধের বিষয়টি ভারত-ভুটান দুই দেশের আর্ন্তজাতিক বিষয়। তথাপি শাসক দল তৃনমুলের অভিযোগ ডুয়ার্সের এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তিনি এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা সমাধানে না নিজে না কেন্দ্র সরকারের সাথে কথা বলে ভুটান সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হয়েছেন।
এর জেরে ভুটানে যে অবাধ ডলোমাইট উত্তোলন চলছে তার ফলে ভুটান পাহাড় থেকে ডুয়ার্সের দিকে নেমে আসা প্রায় ৭২টি নদীর নাব্যতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এর ফলে ভুটান পাহাড়ে ধারাবাহিক অবিরাম বর্ষণের কারণে যে কোন সময় মহা প্রলয় দেখা দিতে পারে গোটা ডুয়ার্সে। বারংবার ঘটতে পারে মাল নদীতে বির্সজনের রাতে হড়পা বানের ঘটনা। আপাতত এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তায় রয়েছে গোটা ডুয়ার্সের অন্তত দুই জেলার প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিক। উত্তরবঙ্গ সফরে ডুয়ার্সের মালবাজারে আছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
বিজয়া দশমির রাতে মাল নদীতে বিসর্জনের সময় হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি, শুনেছেন পরিবারদের অভাব অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে দুই জেলা প্রশাসনের দুটি পৃথক দল ভুটান পাহাড়ের অবৈধ মাইনিং নিয়ে কথা বলতে পারেন। যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। সম্প্রতি ভুটান পাহাড়ে ভারি বর্ষণের জেরে আলিপুরদুয়ারের ভারত-ভুটান সীমান্তের একধিক স্থানে প্রবল জলচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এছাড়াও ভারত-ভুটান সীমান্তের একধিক আর্ন্তজাতিক সীমানা প্রাচীর জলের তোড়ে উড়ে যায়। মাল নদীতে হড়পা বানের পর এই ঘটনায় আতংকিত গোটা জেলার মানুষ।
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, জেলায় বিজেপির একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সেই দলের পাঁচ বিধায়ক রয়েছেন। অথচ এত বড় একটা আর্ন্তজাতিক সমস্যা নিয়ে বিজেপির মন্ত্রী, বিধায়দের কোন হেলদোল নেই। এটা গোটা ডুয়ার্সের মানুষের দূর্ভাগ্য।