মাল নদীর হড়পা বান থেকে শিক্ষা, ছট পুজোয় হচ্ছে কৃত্রিম নদী। মাল নদীতে হড়পা বান থেকে শিক্ষা নিয়ে ছট পুজোয় পাহাড়ি নদীতে পূর্ন্যাথীদের নামতে দেবে না প্রশাসন। বরং জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নদী থেকে কৃত্রিম খাল কেটে ছটের আয়োজন করছে কালচিনি ব্লক প্রশাসন।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি কালচিনি ব্লকের সমস্ত স্তরের মানুষ। ভুটান পাহাড় থেকে কালচিনি ব্লকের বুক চিঁড়ে নেমে আসা সমস্ত নদীই খরস্রোতা। এই কালচিনি ব্লকের ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর জয়গাও, হাসিমারা, মেন্দাবাড়ি, হ্যামিল্টনগঞ্জ সহ গোটা কালচিনি ব্লকের কোন নদীতেই পূর্ন্যাথীদের সরাসরি নদীতে নামার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। ব্লক প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্লকের ২৩টি ছট পুজো কমিটি।
বিগত দশমীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ব্লকের মাল নদীতে বিসর্জনের সময় আচমকাই হড়পা বানের জেরে আটজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ছট পুজোকে নিয়ে সাবধান জেলা ও ব্লক প্রশাসন। যে কোন রকম অপ্রীতিকর মর্মান্তিক ঘটনা রুখতে তাই আগে ভাগেই সতর্ক হয়েছে প্রশাসনের কর্তারা।
আরও পড়ুন – ছয় বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করলো সুতি থানার পুলিশ
ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা কালচিনি ব্লকের নদী গুলো থেকে কৃত্রিম নদী তৈরির কাজ শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতি হল ঘরে ব্লকের সমস্ত ছট পুজো কমিটির সদস্যদের নিয়ে আসন্ন ছট পুজো উপলক্ষে এক প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ, কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণা পরিয়ার, বিভিন্ন থানার ওসি, বনদফতরের রেঞ্জ অফিসাররা ও দমকল আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে ছট পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বিভিন্ন নিয়মাবলী ছট পুজো কমিটির সদস্যদের জানানো হয়। এদিন জয়গাও ছুট পুজো কমিটির সম্পাদক বিকাশ জয়সওয়াল বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে আমরা খুশি, একদিকে যেমন নদীতে কোন ভয় থাকবে না।অন্যদিকে আমরা নিয়ম মেনে জলে দাঁড়িয়েই পুজো করতে পারবো।
কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই ব্যাবস্থা করা হয়েছে।মানুষ যেমন নির্বিঘ্নে পুজো করতে পারবে, আবার বিপদের কোন ভয় থাকবে না।