মোবাইলের সখ, টাকা জোগাড়ে ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রির চেষ্টা নাবালিকার

মোবাইলের সখ, টাকা জোগাড়ে ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রির চেষ্টা নাবালিকার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মোবাইলের সখ, টাকা জোগাড়ে ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রির চেষ্টা নাবালিকার। মোবাইল কিনতে এক নাবালিকার ভয়ংকর পদক্ষেপের চেষ্টা দেখে আঁৎকে উঠতে হয়। তাই অনলাইনে অর্ডারও করে দিয়ে ফেলেছে স্মার্টফোন। কিন্তু সেই স্মার্টফোনের টাকা মেটাবে কী করে সেই চিন্তার সমাধান হচ্ছে নিজের রক্ত বিক্রি। শেষপর্যন্ত তার হয়ে ওঠেনি। ঘটনা বালুরঘাটের। এই নাবালিকা মোবাইলের অর্ডার প্লেস করে পড়ে যায় টাকার চিন্তায়। টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। অবশেষে স্মার্টফোনের টাকা জোগাড় করতে দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নিয়েছে বছর ১৭-এর এক কিশোরী।

 

স্মার্টফোন কেনার টাকা জোগাড় করতে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত বিক্রি করতে আসে ওই নাবালিকা। হাসপাতালের কর্মীদের কাছে রক্তের বিনিময়ে টাকা চায় সে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হতেই তাকে আটক করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাইল্ড লাইনের তরফে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরই ঘটনার পিছনে আসল রহস্য উঠে আসে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বালুরঘাট রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্রের কাউন্সিলর কনক কুমার দাস বলেন, ‘সকালে একটি নাবালিকা মেয়ে এসে বলে যে রক্ত বিক্রি করতে এসেছি।

আরও পড়ুন – উত্তর দিনাজপুরে শক্তিশালী হচ্ছে আই এন টি টি ইউ সি

যা শুনে কর্মীরা হতবাক হয়ে যায়। এরপরে তাকে ভিতরে বসিয়ে কথা বলা হয়। সে নানা ধরনের কারণ বলতে থাকে। শেষপর্যন্ত বোঝা যায়, সে মোবাইলের টাকা জোগাড় করতেই রক্ত বিক্রি করতে এসেছিল। আমরা চাইল্ড লাইন খবর দিলে, ওখানকার লোকেরা এসে নাবালিকাকে নিয়ে যায়।’ অন্যদিকে চাইল্ড লাইনে দায়িত্ব থাকা রীতা মাহাত বলেন, টওই নাবালিকাকে কাউন্সেলিং করে জানতে পারি সে মোবাইলের টাকা জোগাড় করতে রক্ত বিক্রি করতে এসেছিল। করদহ থেকে বালুরঘাটে আসে সে রক্ত বিক্রি করতে। মোবাইল অর্ডার দিয়েছে বলে! আমরা বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলছি।’

 

এই বিষয়ে ওই নাবালিকার বাবা জানান, ‘একটা ছোট মোবাইল ছিল বাড়িতে। কিন্তু স্মার্টফোনের কথা আমাকে কখনও জানায়নি। ও কেন কার কথা শুনে রক্ত বিক্রি করতে এল? তা বুঝতে পারছি না।’ জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা তপন ব্লকের করদহ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি ওই এলাকাতেই। বাবা সবজি বিক্রেতা। মা অসুস্থ। বাড়িতে ছোট ভাই রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, সে প্রতিবেশী একজনের মোবাইল থেকে একটি স্মার্টফোনের অর্ডার দিয়েছে। এই সপ্তাহেই সেই মোবাইল আসার কথা। কিন্তু মোবাইল কেনার টাকা জোগাড় করতে সমস্যায় পড়েছিল। তাই সে রক্ত বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে সোজা করদহ থেকে বাসে চেপে বালুরঘাট হাসপাতালে আসে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top