মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রসংশায় উচ্ছ্বসিত মানিক। বিজয়া দশমীর রাতে ডুয়ার্সের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন চলাকালীন আচমকাই চলে আসা হড়পা বানে ভেসে যাওয়া মানুষদের বাঁচিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সম্মানিত হলেন ৭ জন। যার মধ্যে প্রথম থেকেই অন্যতম ছিল মোহাম্মদ মানিক। মাল মহকুমা তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুবক পেশায় লোহার সরঞ্জাম তৈরির মিস্ত্রি।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মৃতের পরিবারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাদের আমন্ত্রণ জানান। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সকলেই মঞ্চে আসেন। এদিনের প্রশাসনিক সভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই ডেকে নেয় মৃতের পরিবারকে। এরপর উদ্ধারকারীদের মধ্যে মোহাম্মদ মানিকের ভূয়ষি প্রশংসা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তাদের হাতে সংসাপত্র ও এক লক্ষ টাকা চেক তুলে দেন। এমনকি প্রস্তাব দেন, প্রত্যেকেই বলা হয় তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কি প্রয়োজন কোন পদে চাকরি করতে চান। সেখানে গ্রুপ সি কনস্টেবল, সিভিক ভলেন্টিয়ার। যদিও মোহাম্মদ মানিক এদিন কোনোকিছু পরিষ্কার ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জনাননি। তিনি পড়ে ভেবে জানাবেন বলেই জানান। সেখান থেকে সকলকে সম্মান জানিয়ে তারা নেমে আসেন এবং ঘটনস্থল থেকে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন – ছয় বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করলো সুতি থানার পুলিশ
ঘটনায় রীতিমত খুশির হাওয়া এলাকায়। ধন্যবাদ জানিয়েছে সেই যুবকেদের কাজে রীতিমত খুশি সকলেই। মোহাম্মদ মানিকও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। এত কাছের থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার সুযোগ পাবেন কখনো ভাবেননি। তিনি বলেন, আমরা কোনোকিছু পাওয়ার আশায় সেদিন নদীতে ঝাপিয়ে পড়িনি। চোখের সামনে এত মানুষকে ভেসে যেতে দেখে জীবন রক্ষা করার মূল দায়িত্বটাই মনে হয়েছিলো। তাই আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভুয়সী প্রশংসায় সকলেই খুব উৎসাহিত। ভূয়সী প্রসংশায়