অনশনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান বিরোধীদের হাতে সুযোগ তুলে দি। করুনাময়ীতে মধ্যরাতে পুলিশের অভিযান নিয়ে শুক্রবার সিপিএম জোরদার আন্দোলন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কংগ্রেস ও বিজেপি। ফলে আন্দোলন গিয়ে দাঁড়ায় সরকার বনাম বিরোধীদের। অনশনে অবস্থানকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে হেন চেষ্টা নেই যা করেনি।
আগেও বাম ও কংগ্রেস আমলে এভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এবার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সেই দোষ এসে পড়েছে। তবে পুলিশ অত রাতে কেন অনশনকারীদের তুলতে গেল সেটাই একটা প্রশ্ন। দিনের বেলায় সেটা করতে পারত। এই কাজ করায় বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে যায়। তারা সবদল মিলে একজোট হয়ে শুক্রবার পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে হৈচৈ বাধানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন – চাদের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পুড়িয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা, নিহত ৫০
প্রায় সব জেলায় তারা এই প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। রাস্তা অবরোধ করে ডায়মন্ডহারবার জাতীয় সড়ক অচল করে দেয়। তাদের তুলে দেবার জন্য পুলিশ চেষ্টা করে। তা নিয়ে সিপিএম কর্মী নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের এই জোরজুলুমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আরেকটি সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছিল।
আর যাই হোক অনশনপীড়িতদের নিয়ে পুলিশ এতটা নাই করতে পারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বিরোধীরা একজোট হয়ে পঞ্চায়েতে নামবেন তার একটা মহড়া এদিন হয়ে গেল। সিপিএমের মীনাক্ষী মুখার্জীকেও দেখা যায় পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকেও মহিলা পুলিশ জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে।