নাবালিকা ছাত্রীকে শীলতাহানির অভিযোশীলতাহানির অভিযোগকারী নাবালিকাকে রাতভর থানায় বসিয়ে রাখলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। টিউশনি পড়তে যাওয়ার পথে নাবালিকা ছাত্রীর শীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি ডাউকিমারি এলাকায়। ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ দায়ের পরেও অধরা অভিযুক্ত। এদিকে থানায় অভিযোগ জানাতে আসা পড়ুয়ারকে রাত ভর থানায় আটকে রাখালো পুলিশ, অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
অভিযোগ নাবালিকা প্রাইভেট টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবক তার রাস্তা আটকায়। প্রথমে তার নাম্বার চায় অভিযুক্ত যুবক, মোবাইল নাম্বার দিতে অস্বীকার করলে তার সাইকেল আটকে ধরে এবং গায়ে হাত দেয় তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এমনকি নাবালিকার গলা টিপে ধরে অভিযুক্ত যুবক বলে দাবি নিগৃহীতার। তাতে খামচি লাগে ছাত্রীর গলায়। বৃহস্পতিবার রাতে স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের তরফে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়, তবে অভিযোগ পুলিশ রিসিভ করে দেয় শুক্রবার দাবি নাবালিকার পরিবারের।
এদিকে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবার বাড়িতে চলে যান। এদিকে ফের রাতের বেলা ছাত্রী ও তার পরিবারকে রাতের বেলা থানার তরফে ডেকে পাঠানো হয়। ধূপগুড়ি হাসপাতালে সেই ছাত্রীকে রাতের বেলায় ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। তবে নাবালিকাকে ছেড়ে দেওয়া হয় না রাতের বেলা, তাকে বসিয়ে রাখা হয় ধূপগুড়ি থানায়। সকাল বেলা পরিবারের তরফে সেই ছাত্রীকে থানা থেকে নিতে এলে পুলিশের তরফে জানানো হয় তাকে হোমে পাঠানো হবে, বলে দাবি পরিবারের। এদিকে অভিযোগকারীকে থানায় নিয়ে এসে রাতভর রাখার অভিযোগে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
আরও পড়ুন – চাদের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পুড়িয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা, নিহত ৫০
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর ধূপগুড়ি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরেও জলপাইগুড়িতে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলেই তাকে রাতের ছাড়া হয়নি। এমনকি পুলিশের তরফে জানানো হয় পকসো কেসের ক্ষেত্রে নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয় এমনটাই নাকি নিয়ম রয়েছে। যদিও আইনি সূত্র বলছে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় হোমে রাখার কোন প্রয়োজন হয় না। নাবালিকা অপহরণ অথবা ধর্ষণের সেই ক্ষেত্রে হোমে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অথবা গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কাজগুলো করে থাকে পুলিশ প্রশাসন। তবে এই ক্ষেত্রে হোমে রাখার নিয়ম আইনত আছে কিনা তা কিন্তু পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।গ, রাতভর থানায় বসিয়ে রাখার অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের।