সম্প্রীতির শ্যামা পুজো বাংকুবাজারে

সম্প্রীতির শ্যামা পুজো বাংকুবাজারে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সম্প্রীতির শ্যামা পুজো বাংকুবাজারে। গয়েরকাটার বাংকুবাজার মিলন সংঘ যেন সত্যি মিলনের তীর্থ ভূমি। দেশজুড়ে যখন ধর্মকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে এক শ্রেণীর মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দাড়িয়ে হিন্দু মুসলিম মিলে মিশে শ্যামাপূজা আয়োজন এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য। মিলন সংঘের পুজোয় চাঁদা তোলা থেকে মন্ডপ সজ্জা সমস্ত কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় মুসলিম যুবকরা।

 

হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে এই ক্লাব। পুজোর দিন সকাল থেকে মিলে মিশে আনন্দ উৎসবে শামিল হওয়া থেকে শুরু করে রাতে পাত পেরে খিচুড়ি খাওয়া সবই চলে একসাথে।জলপাইগুড়ি বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ডাঙ্গাপাড়া বাংকুবাজার এলাকায় প্রায় ৮০% মানুষ মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত। এখানেরই ক্লাব মিলন সংঘ। দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর ধরে এই ক্লাব শ্যামা পুজোর আয়োজন করে আসছে।

 

ক্লাবের পুরোনো সদস্যরা বেশির ভাগ আজ আর বেঁচে নেই। তাদের জায়গায় এসেছে নতুন সদস্যরা। ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী হলেও তাদের সম্প্রীতিতে কেউ ফাটল ধরাতে পারেনি আজও।কাজি নজরুল ইসলামের লেখা কবিতা ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’ যেন এখানে সার্থক হয়ে উঠেছে বাংকুবাজারে। ক্লাবের কর্মকর্তা উমাচরণ রায় বলেন, মিলনের এই শ্যামা পুজা আজ ২৮ তম বর্ষে পদার্পন করল।

আরও পড়ুন – এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য

মুসলিম সম্প্রদায় যেভাবে পাশে দাঁড়িয়ে এই পুজোর দায়িত্ব নেয় তাতে আমরা গর্বিত। আশা করি এভাবেই আমরা এগিয়ে যাবো একসাথে মিলে মিশে। ক্লাবের সভাপতি জছিরুদ্দিন বলেন, ধর্ম যার যার কিন্ত উৎসব সবার। এই ধরনাকে সামনে রেখে আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও এই শ্যামা পুজোয় শামিল হই। সমাজে জাত পাত নিয়ে প্রচলিত ধারনা আছে তার বিলুপ্তি চেয়ে মানুষের কাছে বার্তা দিতে চাই আমরা সবাই এক ও অভিন্ন বলে জানান জছিরুদ্দিন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top