অবৈধভাবে বালি পাথর নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরাঅভিযোগকে ঘিরে শুরু দোষারোপের পালা

অবৈধভাবে বালি পাথর নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরাঅভিযোগকে ঘিরে শুরু দোষারোপের পালা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অবৈধভাবে বালি পাথর নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা অভিযোগকে ঘিরে শুরু দোষারোপের পালা। নদী থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধভাবে বালি পাথর তুলে তা পাচার করছে কিছু বাংলাদেশের বাসিন্দা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার জন্য সীমান্ত রক্ষীদের ঢিলেঢালা প্রহরাকে দায়ি করতে চাইছে। একইভাবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার ঘটনায় শাসক বিরোধি তরজা তুঙ্গে।

শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত লাল দাস জোত এলাকার বাংলাদেশ লাগোয়া মহানন্দা নদী । এলাকাবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে শতাধিক বাংলাদেশের বাসিন্দারা ভারতের জমিতে প্রবেশ করে মহানন্দা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তুলে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে,, শুধু তাই নয় নদীর ধার কেটে নদীর গতিপথ কে ব্যাহত করছে তারা। একদিকে যেমন গ্রীন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অমান্য হচ্ছে অপরদিকে মালবাজারে হড়পাবানের ঘটনার জেরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা বিহিত চাইছেন।
সীমান্তর কাঁটাতারের বেড়া টপকে বিএসএফ প্রহরা এড়িয়ে তাদের যাতায়াত সর্ষের মধ্যে ভুত দেখছেন এলাকাবাসি ।

 

সবকিছু রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয় না সীমান্তে প্রহরার দায়িত্বে থাকা বি এস এফ নিজ দায়িত্ব পালন করলে এমনটি হত না মন্তব্য করেন দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া । সীমান্ত এলাকায় এই সমস্ত অবৈধ কাজ রোখার কারণেই মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ জাওয়ানরা। তাহলে ধরে নিতে হবে যে কেন্দ্র সরকারের কোন সংস্থাই ঠিকভাবে কাজ করছে না। শুধু তাই নয় কেন্দ্র সরকার এদিকে দৃষ্টিপাতই করছে না যে তাদের সংস্থারা কিভাবে কাজ করছে। মূল কথা হলো এই অবৈধ কাজ আটকানোর কোন সদিচ্ছাই নেই তাদের মন্তব্য তার।

আরও পড়ুন – চোপড়ার শীতল গছে বন কালি পূজা উপলক্ষে জমে উঠেছে গানের আসর

এলাকাবাসীরা বলেন, বিএসএফ যথেষ্ট আটকানোর জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের কোন বাধা কে এই তোয়াক্কা না করে অবাধে বিদেশি চোরাকারবারিরা বেপরোয়াভাবে অসাধু কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা তথা তৃণমূল নেতা তারসিরা টপ্পো জানান, অবিলম্বে এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিও অফিসে জানানো হবে এবং অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করারও আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তবে প্রশাসনের চোখের সামনে কিভাবে এই বেআইনি কাজ চলছে প্রশ্ন এটাই। তবে বিএসএফ জওয়ানদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে।

এ বিষয়ে পুলিশের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের আধিকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবৈধ পাচার রোখার বন্দোবস্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, বিষয়টি তিনি সংবাদ মাধ্যম থেকে জেনেছেন, সীমান্ত টপকে এভাবে আসা আশ্চর্যের । তিনি বলেন বি এস এফ এবং কেন্দ্রের এজেন্সিদের ওপর তিনি আস্থাশীল । তবুও এ বিষয় নিয়ে পুলিশ এবং বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top