দক্ষিণবঙ্গের কবিতা উৎসবে আমন্ত্রিত উত্তরবঙ্গের উদীয়মান কবি। দক্ষিণবঙ্গের কবিতা উৎসবে আমন্ত্রিত উত্তরবঙ্গের উদীয়মান কবি। বকখালি কবিতা উৎসবে স্বরচিত কবিতাপাঠ ও আলোচনাসভায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন সাহিত্য জগতে জলপাইগুড়ির তরুণ তুর্কি সুশান্ত দাস। সেখানে একগুচ্ছ কবিতা পড়ে শোনাবেন দক্ষিণবঙ্গের খ্যাতনামা কবি ও সাহিত্য সমালোচকদের। উত্তরবঙ্গের কবি, শিল্পীদের একাংশের অনুযোগ অনেকদিনের। তাদের প্রতিভার নাকি সেভাবে স্বীকৃতি মেলেনা ওপার গঙ্গায়।
এবার সেক্ষেত্রে কিছুটা প্রলেপ পড়তে চলেছে সুশান্ত দাসের আমন্ত্রণ প্রাপ্তিতে। আগামী ৮ই নভেম্বর কবিতা উৎসবে শামিল হবেন তিনি। উল্লেখ্য, গতবছর জলপাইগুড়ি বইমেলায় প্রথম থিম সঙ লিখে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সুশান্ত দাস। তার লেখা কবিতা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সামাজিক মাধ্যমে তার লেখা কবিতা পাঠ করে জনপ্রিয় হয়েছেন এপার-ওপার বাংলার একাধিক বাচিক শিল্পী। কর্মসূত্রে থাকেন গ্যাংটকে।
আরও পড়ুন – ছট পুজোর প্রাক মুহুর্তে শিলিগুড়িতে হদিস পাওয়া গেল সূর্যদেবের মন্দিরের
ছুটিতে শহরের নেতাজি পাড়ার বাসভবনে এসে বিশেষ সাক্ষাৎকারে সুশান্তবাবু বলেন, আনন্দ চন্দ্র কলেজে পত্রিকা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আসীন থাকার সময় থেকেই সাহিত্য চর্চা করছেন। এই প্রথম দক্ষিনবঙ্গের কোন কবিতা উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন। তার কিছু কবিতায় কিংবদন্তী সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ছায়া রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ ও ওপার বাংলায় তার কবিতার পাঠক রয়েছেন।
তার লেখা দক্ষিণবঙ্গের পাঠক মহলেও সমাদৃত হয়েছে। সে কারণেই সমুদ্র জানালা উৎসব কমিটির তরফে এই কবিতা উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছেন তিনি।সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবাও করছেন বহুদিন ধরে। ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ নেহেরু যুব কেন্দ্রের তরফ থেকে তাকে ডিস্ট্রিক্ট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল। সুশান্ত বাবুর কথায়, সমসাময়িক বিষয় নিয়েই তিনি ছন্দবদ্ধ কবিতা লিখে চলেছেন। কোন বিষয়ে সমর্থন হোক বা প্রতিবাদ; তার হাতিয়ার কবিতাই।