বউ হলো বৌমা। ভাইয়ের সাথে স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলল স্বামী । ২৪ বছরের বন্ধন ছিন্ন করে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বৌমার মর্যাদায় ভাইয়ের ঘরে বউ হিসেবে তুলে দিলো দাদা। এবার বউয়ের সাথে যোগ হলো মা। অর্থাৎ আগে ছিলো বৌ বর্তমানে বৌমা।
এই অদ্ভুত সম্পর্কের টানাপোড়নের অনন্য নজীরের ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের বাগচির বাগান এলাকায়। জানা যায়, ওই এলাকার পেশায় ঢালাই মিস্ত্রী অমূল্য দেবনাথের সাথে আজ থেকে ২৪ বছর আগে পারিবারিক দেখাশোনায় বিবাহ হয় বাবলা পঞ্চায়েতের দিপালী দেবনাথের। তাদের ১৯ বছরের একমাত্র সন্তান কর্মসূত্রে বর্তমানে রাজ্যের বাইরে আছে বেশ কয়েক বছর যাবৎ। প্রতিবেশীদের মতে নির্ঝঞ্ঝাট গৃহবধূর সংসার খরচ বা অন্যান্য কোন বিষয়ে অভাব ছিলো না। তবে একটি দোকানের বিষয়ে মাঝেমধ্যে অশান্তি হতো স্বামীর সাথে। তবে তা খুব সামান্য ঘটনা বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। গৃহবধূ সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন ফোনে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা । তবে অন্যান্য বন্ধুদের তুলনায় নিজের দেওয়রকেই শেষমেষ বেছে নেয় ওই গৃহবধ।
শান্তিপ্রিয় দাদা তার ভাইয়ের সাথে স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া আন্দাজ করতেন মাঝেমধ্যেই। তবে হাতেনাতে ধরতে পারেননি কোনোদিন। সম্প্রতি সপ্তাহ খানেক ধরে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের কারণে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কয়েকটি বাড়ি পেরিয়ে পৈত্রিক বাড়িতে মায়ের কাছে ছিলেন। তিনি আন্দাজ করছিলেন জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘর ফাঁকা থাকবে জেনেই ভাই কেশব দেবনাথ আশ্রয় নিয়েছিলো বৌদির সজ্জায় । বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাবার পর বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন দাদা। এরপর প্রতিবেশীদের ডেকে, সকলকে প্রত্যক্ষ করান তাদের আপত্তি কর অবস্থা।
আরও পড়ুন – পদ্মা পারের হাওয়ায় উত্তাল গঙ্গা পারের কলকাতা
কালবিলম্ব না করে ওই রাতেই প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার ভাইয়ের হাতে সিঁদুর পরিয়ে , ভাইয়ের ঘরে বউকে তুলে দিয়ে আসেন দাদা। এ বিষয়ে তিনি আমাদের জানান, কিছুদিন আগে ভাই সামান্য বিবাদে আমার মাথায় আঘাত করে। এখন বুঝতে পারছি আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছিলো। প্রাণে বেঁচে গেছি। তাই ওদের ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবো না। উপরে ভগবান আছে তিনিই বিচার করবেন। কষ্ট হচ্ছে ১৯ বছরের ছেলে যখন জানতে পারবে তখন সে কিভাবে বিষয়টি কি নেবে সেইটাই দুঃশ্চিন্তার।
প্রতিবেশীরা বলেন, প্রত্যেকের ঘরেই মা বোন রয়েছে। নোংরামি কোনোভাবেই বরদাস্ত করবো না। পরকীয়ায় যখন দেশের কোন আইনী বাধা নেই, তবে তারা বিবাহের স্বীকৃতি দিয়ে সংসার করুক। সমস্যা একটাই এর আগে নিজস্ব বাড়ি করার জন্য নিজের উপার্জিত অর্থে স্ত্রীকে ভালোবেসে, তার নামে দলিল করেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর সাথে সাথে যাতে ঘরবাড়ি ও চলে না যায় সে ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর কে জানিয়েছেন তিনি। প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হবেন বলে জানান তিনি। প্রতিবেশীরাও তার পাশে সমর্থনে এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন।