ভাটপাড়ার পর নৈহাটির শিবদাসপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন তৃনমূল নেতা।জগদ্দল, ভাটপাড়ার পর এবার নৈহাটির শিবদাসপুর। চললো গুলি, পড়ল বোমা। শনিবার রাতে নৈহাটির শিবদাসপুরের কন্দপুকুর এলাকায় চায়ের দোকানে বসে থাকা এক তৃনমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ওইদিন রাতে চায়ের দোকানে বসে অন্যান্যদের সঙ্গে গল্পগুজব করছিলেন স্থানীয় তৃনমূল নেতা জাকির হোসেন। আচমকাই দুটি বাইকে চেপে ৬-৭ জন দুষ্কৃতী সেখানে এসে জাকিরকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি ছোড়ে।
দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি জাকিরের বুকে,পেটে ও হাতে লাগে। এছাড়াও একের পর এক বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। ওইদিন রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় তৃনমূল নেতা জাকিরকে কল্যানির জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে সেখাই তার মৃত্যু হয়। এছারাও ওইদিন ঘটনাস্থলে বসে থাকা ইউসুফ নামে এক যুবকও গুলিবিদ্ধ হয়। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিন মহম্মদ মন্ডলের দোকানেও ভাংচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশাবুল ওরফে বাচ্চাই জাকিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আশাবুল এলাকায় সমাজ বিরোধী হিসেবেই পরিচিত।
আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা
তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় একাধিক অপরাধমুলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরেই তৃনমূল নেতা জাকিরকে খুন করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা মুল অভিযুক্ত আশাবুল ওরফে বাচ্চা। পুলিশ তার খোঁজ চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। এদিকে রবিবার সকালে তৃনমূল নেতার মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত আশাবুলের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তীব্র উত্তেজনা থাকায় শিবাদাসপুরের কন্দপুকুর গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রাফ মোতায়েন করা হয়েছে।