কালিয়াচক ২নং ব্লকের চৌধুরীটোলার লোহার ঝুলন্ত ব্রীজের বেহাল দশা প্রায় দুই দশক ধরে। কালিয়াচক ২নং ব্লকের চৌধুরীটোলার লোহার ঝুলন্ত ব্রীজের বেহাল দশা দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর হতে চলল। এই ব্রিজকে সংস্কার করার কোন উদ্যোগ জেলা প্রশাসন বা স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের এতদিন দেখা যায়নি। এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন বহু লোক যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীরা বারংবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন ব্রিজ মেরামতির দাবি নিয়ে।
কিন্তু তাদের আবেদন বারে বারে নিষ্ফল হয়েছে। সম্প্রতি গুজরাটের ঝুলন্ত ব্রীজের দূঘটনার পর টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। ঝুলন্ত ব্রীজটি সাময়িক মেরামতের উদ্যোগ নিলেন বাঙ্গীটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। আগামী ৪ঠা নভেম্বর শুরু হচ্ছে পঞ্চানন্দপুরের রাস মেলা। এই সময় এলাকায় ব্যাপক দর্শনার্থীদের সমাগম হয় । ফলে এই ব্রীজটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চলাচলের জন্য। প্রচুর মানুষ এই ব্রীজটি ব্যবহার করে। এছাড়া এই ব্রীজটি গোঁসাইটোলা ও চৌধুরীটোলা দুটি গ্রামকে সংযোগ করেছে। যার উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষ যাতাযাত করে। এই ব্রীজটি থাকার ফলে কালিয়াচক ও মালদার দুরত্ব অনেকটা কমে যায়।
আরও পড়ুন – আকাশ পরিষ্কার, নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে
তাই এই ব্রীজটির গুরুত্ব অপরীসীম। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবির পরও এই ব্রীজের সংস্কার হয় নি। গুজরাটের ঝুলন্ত ব্রীজের দূঘটনার পর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হল। প্রায় তিন লক্ষ টাকা জরুরী ভিত্তিতে খরচ করে নতুন ইস্পাতের পাত লাগানো হচ্ছে এই ব্রীজটিতে। বাঙ্গীটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তহিদুর রহমান বলেন, ব্রীজটি ঐতিহ্য বিজরিত। মালদহের তৎকালীন সংসদ প্রয়াত গণি খান চৌধুরী ২০০৮ সালে পঞ্চানন্দপুর পাগলাঘাটে এই ব্রীজটি তৈরি করেছিলেন।
পরবর্তীকালে নদীর ভাঙ্গনের আগে এই ব্রীজটিকে ওখান থেকে তুলে এনে গোঁসাইটোলা ও চৌধুরীটোলা দুটি গ্রামের মধ্যে সংযোগস্হলে বসান। এর ফলে ওই দুই গ্রামের বহু মানুষ উপকৃত হন এমনকি এখানকার মানুষদের মালদহে যাতায়াতের জন্য অনেক সুবিধা হয়। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর হতে চলল ইস্পাত খয়ে গিয়ে বিপদজনক হয়ে উঠেছে ব্রীজটি। উত্থরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে স্থায়ী কংক্রীটের ব্রীজের জন্য আবেদন করা হয়েছে। যেহেতু এখনও তা অনুমোদন হয় নি। তাই জরুরিভিত্তিতে সংস্কারের কাজ করে চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।