চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে জেলে বন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এমনকী বন্দি দশায় জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির।যা নিয়ে শোরগোল অব্যাহত রাজনৈতিক মহলে।
অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দল তৃণমূলের অন্দরে।এরইমধ্যে ফের চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এক যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মনোজ রামের বিরুদ্ধে।কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি চাকরি।
পরে বুঝতে পারেন ওই তৃনমূল নেতার হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন যুবক।প্রতারণার শিকার হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাট গ্রামের বাসিন্দা দীপক সিং(৩০)।
সূত্রের খবর,২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন দপ্তরে বাস কন্ডাকটারের চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃনমূল নেতা মনোজ রাম ওই যুবকের কাছ থেকে দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।
কিন্তু চাকরি তো হয়নি। এমনকী যে টাকা নিয়েছিলেন তাও ফেরত দেয়নি।এখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।তাই টাকা ফেরতের দাবিতে ও পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দীপক সিং।
আরও পড়ুন- পশ্চিম বঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে উস্থীতে স্কুলে বিজয়া সম্মিলনী
দীপক সিং জানান,২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন দপ্তরে বাস কন্ডাকটারের চাকরির জন্য কুচবিহার জেলা থেকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পায়।সেই সময় দলীয় সূত্রে মনোজ রামের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।মনোজ রামের কথামত শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে চাকরি পাওয়ার আশায় সেই টাকা মনোজ রামকে দেয়।সে চাকরি তো দিতে পারেনি উল্টে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।দীপক বাবু আরো জানান,তার একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ডাক্তারবাবুরা অপারেশন করে বাদ দিয়ে দিয়েছে।
টাকার চিন্তায় বাবা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে ২০১৮ সালে মারা গেছে। এরপর পরিবারের শুরু হয় অর্থাভাব।শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে।বর্তমানে মা কে নিয়ে দিনমজুরী করে সংসার চালাচ্ছে। টাকাগুলো ফেরত না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো থাকবে না বলে জানান দীপকবাবু।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মনোজ রাম এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইনি। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,দুর্নীতিবাজ নেতার পাশে দল নেই।অভিযোগ সত্যি হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।