পাহাড়ে ট্রেকিং এর নেশাই কাড়লো শিক্ষক অলোকের প্রান। ট্রেকিংয়ের নেশা ছিল দির্ঘ দিনের তাই ট্রেকিং করতে ছুটে গিয়েছিলেন উত্তরা খন্ডের পাহাড়ের বুকে। নদীয়ার কল্যানী ব্লকের সগুনা পঞ্চায়েতের এক নং লিচু তলার বাসিন্দা অলোক বিশ্বাস। পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের নেশাই কাড়লো আলোকের প্রান।বরফে ঢাকা অলোক বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার হয় একমাস তিন দিন পর। তার দেহটি উদ্ধার করে উত্তরা খন্ডের প্রশাসন। ময়নাতদন্তের পর কফিন বন্দী নিথর দেহ ফিরলো কল্যানীর সগুনার বাড়িতে।
জানা যায় অলোক বিশ্বাসের দেহ আনতে যায় পরিবারের পাঁচ সদস্য, গত ৫ ই নভেম্বর রাত দুটো নাগাদ অলোকের মৃত দেহ নিয়ে আসা হয় সগুনায় । শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার সহ গোটা এলাকায়,রাখা হয় স্হানিয় একটি ক্লাবে যেখানে সে খেলাধুলা করতো।স্হানিয় সুত্রে জানা যায় তাঁর মা অসুস্থ,তাই বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়নি। ৬ই নভেম্বর কিছু সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে এর পর আবার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।মরদেহ শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে নিয়ে যাওয়া হয় উঃ ২৪পরগনার হালিশহর মহাশ্মশানে।
আরও পড়ুন – ১৩ দফা দাবিতে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীকে স্মারক লিপি দিতে চলেছেন মিড ডে মিলের রধুনিরা
সুত্রের খবর গত গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ট্রেকিংয়ের উদ্যেশ্যে উত্তরা খন্ডের পাহাড়ে,অলোক বিশ্বাসের সাথে আরোও ৯জন সদস্য যান উত্তরা খন্ডের রুদ্রপ্রয়াগের মহা পঞ্চকল রুটে। মাঝে কয়েক দিন পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তিতে ১১ই অক্টোবর অলোক বিশ্বাসের স্ত্রী তনুজা বিশ্বাসের কাছে এসে পৌঁছায় একটি হিন্দি ভাষার মাধ্যমে যে অলোক বিশ্বাস আর নেই।
তার পরে পরিবারের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠে আলোক বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করতে। এদিকে উত্তরা খন্ডের তুষার ধস নামার খবরে চিন্তিত হয়ে পড়েন অলোকের পরিবার। দুদিন পর উত্তরা খন্ডের প্রশাসন ফোন করে অলোকের নিখোঁজ খবর জানায় পরিবার কে।
যদিও অলকের সঙ্গে যাওয়া জয়ন্ত ফোনে অলকের স্ত্রীকে জানায় তার চোখের সামনে অলোক বরফ ঝড়ে মারা গেছে। দিকে কল্যানী মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে অলোকের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নবান্নে পাঠানো হয় বলেই জানিয়েছেন অলোকের স্ত্রী তনুজা। অবশেষে এক মাস তিন দিন পর উদ্ধার হয় অলোক বিশ্বাসের দেহ।