বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পূজোয় বৃহৎ সংখ্যক পাঠাবলি নিয়ে ধোঁয়াশা। বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পূজোয় বৃহৎ সংখ্যক পাঠাবলি নিয়ে ধোঁয়াশা। ধোঁয়াশা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ফের আলোচনায় বসতে চলেছে বোল্লা রক্ষাকালী মাতা পূজো কমিটি। উল্লেখ যে গত ১-লা নভেম্বর তারিখে এনিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের ডি.জি, জেলা শাসক, জেলার পুলিশ সুপার সহ বোল্লা মন্দির কমিটিকে চিঠি পাঠিয়ে বোল্লা রক্ষাকালী মন্দিরে অবিলম্বে পশুহত্যা বন্ধ করার অনুরোধ জানায়।
যার পর বোল্লা রক্ষাকালী মাতা পূজা কমিটির সভাপতি অপরুপ রঞ্জন কর্মকার জানিয়ে ছিলেন পাঠাবলি নিয়ে সমস্যা রয়েছে, কারন পশুপ্রেমীরা আইন মাধ্যমে গিয়েছে, যার জন্য প্রশাসন তাদেরকে বলেছে বলিটা না হওয়ায় ভাল। সেই সাথে তিনি শুধুমাত্র পূজোর নিয়ম রক্ষার্থে বলি কথাও জানান। যার পর ৭-ই নভেম্বর ফের রাজ্যের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে এনিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া জানায় প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু এনিমেল এক্ট ১৯৬০-এর সেকশন ২৮ অনুযায়ী ধর্মীয় কারনে পশু হত্যার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এরপর বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বোল্লায় পাঠাবলির পক্ষে সওয়াল করে যুক্তি পেশ করে বলেন এটি নিয়ে জনগণের আস্থা আছে, ঐতিহ্য আছে সেই জন্য এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা উচিৎ। শুধু তাই নয় বোল্লায় বৃহৎ সংখ্যক পাঠাবলি বন্ধের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদেরকেও কটাক্ষ করে বলেন কিছু অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এটা নিয়ে জলঘোলা করবার চেষ্টা করছে। যদিও মঙ্গলবার বৈকালে বোল্লা রক্ষাকালী মন্দির কমিটির ম্যানেজার সুব্রত মন্ডল বোল্লা পূজায় বৃহৎ সংখ্যক পাঠাবলি হবে বা না হবে সেই প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলেন এখনও আমরা পরিস্কার নই, করব – কি করব না, আমরা মহকুমা শাসকের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি, মহকুমা শাসকের অফিস থেকে বেশী সংখ্যক বলিদানে নিষেধ করছে।
তিনি এও জানিয়েছেন বৃহৎ সংখ্যক পাঠাবলি হবে বা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা কমিটিগতভাবে আলোচনায় বসবেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন প্রশাসনের তরফ থেকে মহকুমাশাসক আইনগতভাবে পূজো কমিটিকে জানিয়েছে, আমরা সর্বশেষ জানি মন্দির কমিটি প্রতিকী আকারে বলিদান করবে। তিনি বলেন আমরা পূজো কমিটিকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যেটুকু সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন রয়েছে, অন্যান্য নিয়ম বা আইন রয়েছে তা তারা পূজা কমিটিকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন এবার পূজো কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানালে তখন তাতে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।