বানারহাটে পুরানো কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সংবর্ধনা তৃণমূলের। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। আর এই ভোট কে পাখির চোখ করে পুরানো কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করতে মাঠে নেমে পড়ল তৃনমূল। দলে নতুন-পুরানো কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। দলের মধ্যে থাকা এই দ্বন্দ মেটাতে না পারলে আখেরে যে তৃণমূলেরই ক্ষতি তা বুঝতে পেরে দলের পঞ্চায়েতিরাজ সম্নেলনের প্রস্তুতি সভায় পুরানোদের ঐক্যবদ্ধ করতে তাদের সংবর্ধনা দিলেন কিষান খেতমজুর তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বুধবার সন্ধ্যায় বানারহাটের সাকোয়াঝোরা -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংকুবাজারে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ, বানারহাট ব্লক সভাপতি নির্মল রায়, বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী, ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, তৃনমূলের বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং প্রমুখ।
এই সভায় দলের পুরানো কর্মীদের ডেকে তাদের দলীয় উত্তরীয় পড়িয়ে সংবর্ধনা দিতে দেখা যায় তৃণমূলের এই শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিদের। দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে অনেকেই পূর্ন উদ্দীপনার সাথে দলীয় কাজে ঝাপাবেন বলে মনে করছেন তারা। এদিনের সভায় আগামী ২২ নভেম্বর জল্পেশে তৃণমূলের পঞ্চায়েতিরাজ সন্মেলনের যোগদানের জন্য সকল কে আহ্বান জানান দলীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন – ৪ দফা দাবী নিয়ে ডেপুটেশন অল ইন্ডিয়া খেতমজদুর সংগঠনের
দলের পঞ্চায়েতিরাজ সম্নেলনে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া না মেলা, সারের ভর্তুকির পরিমান কমিয়ে দেওয়া, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার হয়রানি ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হবে তাও এদিন সভার মাধ্যমে প্রচার করা হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘ পুরানো কর্মীদের সংবর্ধনা দিয়েই এদিনের সভার সূচনা করা হয়। আমরা চাই সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলের হয়ে কাজ করি। জল্পেশে যে পঞ্চায়েতিরাজ সন্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে মোদী সরকার কৃষক ও গরীব মানুষদের জন্যব যে কতটা বিপদজনক তা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। সেজন্য এদিন বাংকুবাজারে একটি প্রস্তুতি সভা করা হয়। ’