ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে সাংসদ শতাব্দী রায়। আদিবাসী গ্রামে রবিবারের সকালে একেবারে খোলা মেজাজ পাওয়া গেল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়কে। রবিবার স্থানীয় আদিবাসী গ্রামের ফুটবল প্রতিযোগিতায় যোগ দেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়। সকালের উষ্ণ শীত উপভোগ করলেন বীরভূমের আদিবাসী গ্রামের অন্য পরিবেশ।
রবিবার সিউড়ি দুই ব্লকের পুরন্দরপুরের বিডিও অফিস মাঠে পুরন্দরপুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আদিবাসী ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতায় হাজির ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় সেরে ফুটবলে দক্ষতার সাথে শট মেরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি। এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে তার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের পরিদর্শনে করেন।
সিবিআই-ইডি তদন্ত নিয়ে মুখ খোলেন শতাব্দী রায় , তিনি জানান অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল কে ইডির তলব প্রসঙ্গে এটা একটা পদ্ধতি মাত্র , যাদের ডাকছে তারা সকলেই যাবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসারদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফিরে আসবে। তাদের কাজ দেখে জিজ্ঞাসা করা সেটাই সিবিআই ইডির অফিসাররা করছে। আমাদের দলের কর্মীরা গিয়ে উত্তর দিচ্ছে। এটা একটি আইনি প্রক্রিয়া ।
আরও পড়ুন – ত্রিকোণ প্রেমের পরিনীতিতেই কি গৃহবধূর মৃত্যু, আতঙ্কিত শহরবাসী
আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই রাজনৈতিক ভাবে চলছে । তৃণমূল কর্মীদের ডাকা বা সামনে পঞ্চায়েত এবং তারপর লোকসভা নির্বাচনের আগে অবধি এরকমটা চলতে থাকবে । এই চাপ তো ২০২৪ সালে আগে আরও বাড়বে।আমরা সে বিষয়ে অবগত। উচ্চ সংগীতের মতো সিবিআই ইডির স্কেল আছে। সেটা ওই স্কেলে পৌঁছবে। জানালেন শতাব্দী রায়।একইসঙ্গে সাংসদ বলেন, তৃণমূল কোথাও যদি বলে থাপ্পড় মারা উচিত বা এই মারব তবে বিশাল বিশাল মিডিয়ায় বসে যায় আলোচনা সমালোচনা করতে ।
রোজ মেক আপ করে বসে যায় বেশ কিছু মানুষ । এটা নাকি তৃণমূলের কালচার। কিন্তু ওদের কালচারটাও বোঝা দরকার। বিজেপি অস্ত্র নিয়ে প্রথম থেকে লড়ছে। ওরা যদি ক্ষমতায় আসে তবে অস্ত্রের ব্যবহার কেমন হবে সেটা এখন থেকে শেখাচ্ছে ওরা। এটাও মানুষের বোঝা দরকার। রাজ্যের মানুষ কতটা সমর্থন করবে বা করবে না সেটা তারাই সিদ্ধান্ত নিক। পাশাপাশি রাজ্যের দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন , তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছেন , ওই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের দলের নয়।