বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে আশঙ্কায় পড়ুয়া থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা।। স্কুলের দেওয়াল চাপা পড়ে ইতিমধ্যে দুজন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের দুজায়গায়।তারই মাঝে ঘোর বিপদের সন্মুখে ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকেরা।যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুল বিল্ডিং,যে পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে স্কুল,সেই পিলার থেকে শুরু করে স্কুল বিল্ডিং এর বেহাল দশা,খসে পড়ে স্কুলের মিডডে মিলের রুম থেকে বারান্দার ছাদের চাঙর,বেরিয়ে গিয়েছে রড।
স্কুলের এহেন পরিস্থিতি দেখে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকে অভিভাবকেরা।মালদা,পুরুলিয়ার স্কুলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দ্রুত চন্দ্রকোনার কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক দাবি শিক্ষক থেকে এলাকাবাসীর।বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের বেহাল অবস্থা,ছাদের চাঁঙ্গড় ভেঙে খসে পড়ে।স্কুলে এসে চরম বিপদের সম্মুখীন স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে শিক্ষকরা।যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কারণ ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিং,ক্লাস রুমের অবস্থাও একই।
ছাদের চাঙ্গড় ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে রড,প্রায়শই একটু একটু করে খসে পড়ে চাঙ্গড়।প্রায় ১০ বৎসর ধরে এমনই বেহাল অবস্থায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।যখন তখন স্কুলের চাঙ্গড় ছেড়ে নিচে পড়ছে তাই ইতিমধ্যেই স্কুলের বেহাল রুম গুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ,তাতে তালা দেওয়া।বর্তমানে তিনটি রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে চলছে ছোট্ট বাচ্চাদের পঠনপাঠন।একটি রুমে একসাথে পাশাপাশি দুটি ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।এতে অসহায় বোধ করছেন শিক্ষকেরা,ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায়।
আরও পড়ুন – কয়লা পাচার ও বেআইনিভাবে মজুতের অভিযোগে বীরভূমে গ্রেফতার ৬
জানাযায়,কালাকড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০৮ জন,শিক্ষক সংখ্যা ৪ জন।১৯৫৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের কংক্রীট বিল্ডিংয়ের বর্তমানে এমনই বেহাল দশা।ক্লাস রুম থেকে অফিস রুম এমনকি স্কুলের বারান্দাতে ছাদের চাঁঙ্গড় ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড,তা যখন-তখন খসে পড়ে।একটু বিপদ বুঝলে তা খসে পড়ার আগে লাঠি দিয়ে শিক্ষকেরা ছাড়িয়ে ফেলেন।শিক্ষকরা বলেন,অফিস রুম,মিড ডে মিল ও ক্লাস রুমের অবস্থা বেহাল।
আলাদা তিনটি ছোট রুম ভালো থাকায় তার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন।একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের সকলের দাবি,দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পাত্র বলেন,প্রত্যেক বছরই অন্যান্য খাতের টাকা নিয়ে তা ব্যায় করে এস্টিমেট করে প্রায় আট বৎসর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে তারা আবেদন জানাচ্ছে কিন্তু স্কুল বিল্ডিং মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।এখন দেখার কবে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল মেরামতের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।নাকি আবারও মালদা ও পুরুলিয়ায় দুটি স্কুলের দেওয়াল চাপা পড়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তির অপেক্ষায় প্রশাসন উঠছে প্রশ্ন।