বাংলাদেশ থেকে হেঁটেই রায়গঞ্জে এলেন সাইফুল। পুরো নাম সাইফুল ইসলাম শান্তো। বয়স ২৬। বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলাতে। নেশা হল হাঁটা।এই হাঁটতে হাঁটতেই সাইফুল হেঁটে ফেলেছেন সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা।আর এখন ওপার বাংলা ছাড়িয়ে এখন পশ্চিম বাংলার জাতীয় সড়কের ধরে রায়গঞ্জ চলে এসেছেন।এই ভাবেই পায়ে হেঁটে তার যাওয়ার লক্ষ্য দার্জিলিং পর্যন্ত।
ওই যুবকের কাঁধে রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।তা কাঁধে করেই সাইফুল ঢাকা থেকে মাওয়া, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, পেট্রোপোল, কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, কাটোয়া, নদিয়া(পলাসী), মুর্শিদাবাদ, মালদা, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি হয়ে দার্জিলিং যাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, চলার পথে সাধারণ মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় বের করে হাঁটার বার্তাও দিচ্ছেন তিনি।তাঁর কথায়, অকাল পঙ্গুত্ব রোধ করতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন, তবেই সুস্থ থাকবেন।
মূলত বিশ্বের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে গাছ লাগানোর বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তাঁর এই পদযাত্রা।এদেশের পথে এই প্রথম হাঁটছেন সাইফুল।এদিন এবারের হাঁটার ৪৩ তম দিনে সাইফুল এসে পৌছেছেন রায়গঞ্জে।
সাইফুল বলেন, ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করেছি এবং গন্তব্য দার্জিলিং পর্যন্ত। বিগত ৮০৬ দিনের বেশি হাঁটতে হাঁটতে নানা কিছু শিখছি। প্রতি মূহুর্তে মানুষের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন – বনের বানরের গোয়েন্দাগিরি,আটক পাকিস্তানে
দুদেশের সংস্কৃতি, ভাষা এক হলেও যে বর্ডার আমাদেরকে আলাদা করে রেখেছে।
সেটা বেদনার জানিয়ে তিনি বলেন, ওপার বাংলার সাথে এপার বাংলার কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনি। ভীষণ ভালো এদেশের সকলে। তবে, নিয়মিত হাঁটা ও বৃক্ষরোপণ করার বার্তা তাঁর চোখে। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে ডিসেম্বর মাসে পৌঁছে যেতে চান পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফুতে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কেমন থাকে পাহাড়ের মানুষ, কেমন থাকে অধিক উচ্চতার সবুজ, সেই তথ্যগুলোকে সংগ্রহ করতে চান ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যার এই স্নাতক। ।
এদিকে, রায়গঞ্জ থেকে হেঁটে দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছে রক্তদান আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে যিনি কাজ করছেন, সেই হিমাংশু শীল এদিন ছিলেন ওপার বাংলার সাইফুলের সাথে। সাইফুলের এই কর্মসূচি পালন সম্পর্কে বলতে গিয়ে হিমাংশু বলেন, আমরা পরিবেশ রক্ষা সহ নানা ধরনের বার্তা নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করি। আপাত দৃষ্টিতে সফল হবে কি না জানিনা, তবে এর ফল হবে সুদূর প্রসারী।