পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট ভাঙড়। আইএসএফ এর সঙ্গে কাইজারের যোগ, কাইজার বিরোধীদের হাতিয়ার কল রেকর্ড। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতিদের বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে।।
আরও পড়ুন – রাহুল গান্ধীর ”পাপ্পু’ নামটা এবার কাটল, বিজেপির ঘুম উড়ল
ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা আইএসএফ -বিজেপি-সিপিআইএমের সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এ রাজ্যে।তাঁর আগে ভাঙড়ের প্রতিটি ব্লক অনুযায়ী তৃণমূলের সভাপতিদের নাম ঘোষনা হবে।সেই ঘোষনার দোড় গোড়ায় দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু করে দিল ভাঙড়ের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।একটি পুরানো অডিও রেকর্ড কে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন।
সবমিলিয়ে নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ ভাঙড়ে। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের সময় বোমাবাজির ঘটনায় আদালতের রায়ে কাইজার ছিলেন বাড়িছাড়া।সেই সময় কাইজার দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেন আই এস এফ নেতা সরিফুল মোল্লার সাথে।তাতে কাইজার সরিফুলকে আই এস এফে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কাইজার নাকি এক কোটি টাকা পর্যন্ত রাজী ছিলেন বিধানসভার টিকিটের জন্য।এই অডিও হাতে আসতেই আসরে নেমে পড়েছেন কাইজার বিরোধী প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম, মোফাজ্জলে করিম সহ অনান্যরা ।
ফজলে করিম সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘যে কাইজারের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় লড়াই করছেন তিনিই তলে তলে আই এস এফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।উনি দল করেন শুধু তোলাবাজির জন্য ।কাইজার পঞ্চায়েতের টেন্ডার থেকে দশ শতাংশ কমিশন নেন।যে সমস্ত তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ওর বিরোধ হয় উনি তাঁদের আই এস এফের তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দিচ্ছেন। এমন নেতার অপসারণ চাই।‘ ঘটনা প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। ভোটের আগেই