ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগের পরেই তৎপর বীরভূম জেলা পুলিশ ,সব থানাকে কড়া নির্দেশ। কয়েকদিন আগেই বীরভূম জেলা সফরে এসে রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি লাগানোর জন্য বিভিন্নভাবে রাজ্য এবং বীরভূম জেলায় অস্ত্র আমদানি করছে, পুলিশের উচিত জোরদার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেইসব অস্ত্র উদ্ধার করা। এর পরেই তৎপর বীরভূম জেলা পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করছে।
সোমবার ভোররাতে মল্লারপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, ওই ডাকাত দলটি হাজিপুর কুলি রোডের আলছাবড়া মোড়ে জল হয়েছে ডাকাতির উদ্দেশ্যে । তৎক্ষণাৎ মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়, এবং তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১২টি কার্তুজ সহ একটি অত্যাধুনিক ওয়ান সার্টার পাইপগান।পুলিশের দাবী, গোপন সূত্রের পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইসমাইল শেখ (২০) বাড়ি মোল্লারপুর থানার বেসিয়া গ্রামে। সুখ মহম্মদ শেখ (৩০) বাড়ি মল্লারপুর থানার জমুনি গ্রামে। ঈদ মহম্মদ শেখ, তার বাড়ী মল্লারপুর থানার লছিয়াতোর গ্রামে। মল্লারপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা রাস্তায় গাড়ি ডাকাতি করার ছক কষেছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – শীত পড়তেই হরিশচন্দ্রপুরে আবারও শেয়ালের হামলা,জখম ৫
পাশাপাশি দুবরাজপুর থানার পুলিশ অস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে , ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ ইব্রাহিম , তাকে দুবরাজপুর থানার খোঁজমোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত দুষ্কৃতির কাছ থেকে , সেভেন এমএম পিস্তল ও সাতরাউন্ড গুলি , একটি দেশি ওয়ান শার্টার বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড আট এম এমের গুলি উদ্ধার হয়। বীরভূমে পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন , বীরভূমের ২৩ টি থানাকেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , অন্য জেলা এবং বীরভূমের পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড এবং বিহার থেকে যে গাড়ি বীরভূমে প্রবেশ করবে সেই গাড়িগুলোকে আগে সঠিকভাবে তল্লাশি অভিযান করে তবেই বাংলায় অনুমতি দেওয়া হবে।
পুলিশ তৎপর রয়েছে তাই অপরাধীরা দ্রুত অপরাধ করার আগেই ধরা পড়ছে। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন , বিরোধীদের কাজ রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা অপপ্রচারের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলা , কিন্তু রাজ্য পুলিশ তৎপর রয়েছে , কোন অপরাধীর নিস্তার নেই। গণতন্ত্র আছে বলেই পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক রঙ দেখে না।