প্রতিবন্ধী কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে উদ্ধার করলও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতার চিন্তা কমিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালো জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সমাজের সর্বস্তরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে মঙ্গলময় কাজ করতে করতে তারা ইতিমধ্যে বেশ কিছু বছর অতিক্রান্ত করেছে।
মালদহের ইংরেজবাজার নেতাজি পার্ক নিবাসী ফুটপাতের চা বিক্রেতা মদন মন্ডলের প্রতিবন্ধী কন্যা নেহার শুভ বিবাহ স্থির হয়, ইংরেজবাজার অবিরামপুর নিবাসী দীপক রাউতের পুত্র সানির সঙ্গে। কিন্তু এই শুভ বিবাহে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নেহার পিতার আর্থিক অনটন। এই খবর পেয়ে মালদা জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসে ওই দুস্থ পরিবারের কন্যার বিবাহে সাহায্যের জন্য । বরযাত্রী- সহ নিমন্ত্রিতদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা, কন্যার আশীর্বাদের যাবতীয় সরঞ্জাম, আইবুড়ো ভাত,
আরও পড়ুন – বিশ্বজুড়ে পুরুষের শুক্রাণুর হার কমেছে, সন্তান জন্মদানে সংকটে পড়তে পারে মানবজাতি : গবেষণা
মেহেন্দি পরানো, মেকআপ, ছাদনাতলা সাজানো থেকে অতিথি আপ্যায়ন সবই দায়িত্ব সামলিয়েছেন মালদা জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। গতকাল ২১শে নভেম্বর রাত্রি লগ্নে শুভ বিবাহ এবং ২২শে নভেম্বর মঙ্গলবার বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুসম্পন্ন হয়। কন্যাদায়গ্রস্ত প্রতিবন্ধী মাতা জানান যে যার কেউ নেই তার ভগবান আছেন। আবেগ প্রবণ হয়ে কন্যা নেহা জানান যে জাগরণের দাদা ও দিদিরা এভাবে আমার বিয়েতে এগিয়ে এসে সহযোগিতা করবেন স্বপ্নেও ভাবতেই পারি নি।
মালদা জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক শুভজিৎ দাস জানান এই বিয়ে আমাদের সংগঠনের চতুর্থতম বিয়ে। আমরা সহৃদয়বান মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় এরকম সাহায্য করে থাকি। বিয়েতে পাত্র-পাত্রীকে আশীর্বাদ জানান ভারত স্কাউটস্ এন্ড গাইডস্ মালদা জেলা শাখার জেলা রক্তদান শিবির আহ্বায়ক অনিল কুমার সাহা, সমাজসেবী সিদ্ধার্থ দাস। জাগরণের সদস্যা সঞ্চিতা দাস, জয়শ্রী প্রামাণিক,- প্রতিবন্ধীর মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকল সদস্যদের সাধুবাদ জানান।