যুদ্ধক্ষেত্র ত্রিপুরার চারিলাম. স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সিপিআইএম এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় চারিলাম। এই ঘটনায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাম সমর্থন শহিদ মিয়ার। বুধবারের ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে আগরতলার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা এবং জেলা নেতা প্রদেশ রায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় দুদলের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে তিনটি এফআইআর করা হয়েছে। সংঘর্ষে যুক্ত বাকিদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। সংঘর্ষের সময় পুলিশ কর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা চারিলামের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিআইএম নেতা ভানুলাল সাহা বলেছেন, বিভিন্ন দাবিতে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে শত শত সিপিআইএম সমর্থক চারিলামের পার্টি অফিসে জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় এবং বোমা ছোঁড়ে। যদিও সিপিআইএম-এর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন, চারিলামের বিধায়ক তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে হিংসায় নেতৃত্বে দিয়েছেন ভানুলাল সাহা।
আরও পড়ুন – বিএসএফের উদ্যোগে সীমান্তবর্তী এলাকায় শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, সিপিআইএম-এর হামলায় তাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বিজেপি মুখপাত্র অভিযোহ করেছেন, আগামীআগরতলার জিবিপি হাসপাতালে আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলেছে। বিরোধী দলগুলির কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও তিনি করেছেন। গত চার-পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবেন বলেও মনে করেন তিনি। বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিআইএম-সহ বিরোধী দলগুলি ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরি করছে। যুদ্ধক্ষেত্র ত্রিপুরার